সরকার নদীর দখল ও দূষণরোধে শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছে : নৌমন্ত্রী

    0
    501

    {CAPTION}
    নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, সরকার নদীর দখল ও দূষণরোধে শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছে। কর্ণফুলিসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে নৌবাহিনীও সহযোগিতা করবে। নৌমন্ত্রী আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের নদনদী দখল, দূষণ প্রতিরোধ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে’ দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. আলাউদ্দিন বক্তব্য রাখেন। শাজাহান খান বলেন, শেখ হাসিনার সরকার যেভাবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস রুখে দিয়েছে, ঠিক সেভাবেই নদী দখল ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, নদীর নাব্যতা রক্ষা, অবৈধ দখলমুক্ত ও দূষণরোধে ২০১০ সালে ‘টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের মাধ্যমে নদী তীরে ‘সীমানা পিলার’ বসানো হয়েছে। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে স্থানান্তরে টাস্কফোর্স কার্যকর ভূমিকা রাখছে। মন্ত্রী বলেন, নদী খননের জন্য ড্রেজার প্রয়োজন। কিন্তু ৭৫ পরবর্তি কোন সরকার ড্রেজার ক্রয় করেননি। আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে বিআইডব্লিউটিএ ১৩টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে। আরো ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নদীর তলদেশ থেকে বর্জ্য উত্তোলনের জন্য তিনটি এক্সকাভেটর ক্রয় করা হয়েছে, আরো ৬টি এক্সকাভেটর ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ ৫৩টি নৌপথ ড্রেজিং এর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া নৌপথ উদ্ধার তথা সেগুলো সচল রাখার জন্য বর্তমান সরকার ১২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার নৌপথ ও প্রায় তিন হাজার একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। মংলা-ঘষিয়াখালি চ্যানেল পুনরায় খনন করে নৌপথটি জাহাজ চলাচলের উপযোগি করা হয়েছে। এ সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেয়।

    একটি উত্তর ত্যাগ

    আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
    এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে