নেপালে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাংলাদেশ আরো ১০ হাজার টন চাল পাঠাচ্ছে

0
563

রংপুর, ২৫ জুন ২০১৬ (নোঙরনিউজ) : নেপালে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাংলাদেশ আরও ১০ হাজার টন চাল পাঠাচ্ছে।

২০১৫ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালের জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ সহায়তা হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ১০ হাজার মেট্রিক চাল পাঠানো কার্যক্রম আজ শনিবার শুরু হয়েছে।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য বিভাগের সহযোগিতায় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে এই চাল পাঠানো হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে এই চাল প্রথমে ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে নেয়া হবে। সেখান থেকে নেপালি ট্রাকে করে নেপালের কাকরভিটা সীমান্ত দিয়ে নেপালে পাঠানো হবে।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মন্ডল শনিবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে চাল পাঠানো কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক আনিসুর রহমান, পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার গিয়াসউদ্দিন আহমদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদের, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মতিউর রহমান, সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদেক সারোয়ার ও সদর উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দ্বিতীয়বারের মত ত্রাণ সহায়তার আওতায় নেপালে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এবার পঞ্চগড় জেলার খাদ্যগুদাম থেকে সাড়ে চার হাজার এবং দিনাজপুর জেলার খাদ্যগুদাম থেকে থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠানো হচ্ছে।

শনিবার পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলা থেকে ২০টি ট্রাকে মোট পাঁচশ’ মেট্রিক টন চাল পাঠানো হয়। প্রতিদিন এ দু’টি জেলা থেকে ২০টি ট্রাকে করে পাঁচশ’ মেট্রিক টন করে চাল পাঠানো হবে। এসব চাল বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব খরচে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালের বন্ধুপ্রতিম জনসাধারণের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানান, গত ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত জরুরি ত্রাণ সহায়তার আওতায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালের জনসাধারণের জন্য প্রথম দফায় ৫ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত কয়েকটি চালানে পঞ্চগড় জেলা থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল নেপালে পাঠানো হয়।

তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ট্রাকে করে ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দর হয়ে শিলিগুড়ি দিয়ে নেপালের কাকরভিটা সীমান্তে নেয়া হয়। সেখানে নেপাল সরকারের পক্ষে ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে