লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে গেল বানৌজা বিজয়

0
655

লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিজয় শুক্রবার লেবাননের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম নৌ জেটি ত্যাগ করেছে। এ সময় সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স) রিয়ার এডমিরাল এম মকবুল হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাহাজটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান। আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

মিশনের আওতায় মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সে দীর্ঘ ৩ বছর ৭ মাস দায়িত্ব পালনরত বানৌজা আলী হায়দার এবং নির্মূলকে প্রতিস্থাপন করবে নৌবাহিনীর আধুনিক এ যুদ্ধজাহাজ বিজয়। লেবানন ও ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় টহলের কাজে নিয়োজিত থেকে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আলী হায়দার ও নির্মূল আগামী বছর ২০ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব পালন শেষে দেশে ফিরবে। এই মিশনে যোগ দিতে নৌবাহিনী জাহাজ বিজয় এর অধিনায়ক কমান্ডার মোঃ ফজলার রহমান এর নেতৃত্বে সর্বমোট ১৫ জন কর্মকর্তা এবং ৯৫ জন নাবিক লেবাননের উদ্দেশ্যে রওয়া দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে নৌবাহিনীর পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অংশ হিসেবে নৌবাহিনীর জাহাজ দু’টি লেবাননের ভূ-খন্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সাথে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি লেবানীজ জলসীমায় উক্ত জাহাজ দু’টি মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফট এর ওপর গোয়েন্দা নজরদারী, দূর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানীজ নৌসদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ করছে। মিশনে যোগদানের পর থেকে আলী হায়দার ও নির্মূল জাহাজ দু’টি ভূমধ্যসাগরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে টহলদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রতিস্থাপিত আধুনিক এই যুদ্ধজাহাজ বিজয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের ফলে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের পরিচিতি ও সুনাম আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি এ খাতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

উল্লেখ্য, লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ২০১০ সালের মে মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ প্রেরণের মাধ্যমে শান্তিরক্ষা মিশনে নতুন মাত্রা যোগ করে। এরই ধারাবাহিকতায় নৌবাহিনী জাহাজ আলী হায়দার এবং নির্মূল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় সাত হাজার নটিক্যাল মাইল পথ অতিক্রম করে ভূমধ্যসাগরে মাল্টি ন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সে যোগদান করে। উক্ত মিশনে বাংলাদেশ ছাড়াও জার্মানী, তুরস্ক, গ্রীস, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর উলে¬খযোগ্য সংখ্যক জাহাজ মোতায়েন রয়েছে। এ ধরনের উন্নত আধুনিক দেশের নৌ বহরের সাথে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ যোগদানের বিষয়টি বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য অত্যন্ত গৌরবের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে