বারী সিদ্দিকীর দাফন শেষে নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে যাত্রা

0
902

২৪ নভেম্বর, ২০১৭ (নোঙরনিউজ) : আজ ২৪ নভেম্বর ২০১৭ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আধ্যাত্মিক ও লোকগানের প্রথিতযশা শিল্পী
বারী সিদ্দিকীর জানা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শুরা হোয়ার আগে বারি সিদ্দিকীর পুত্র সকলের কাছে দ্রয়া প্রর্থনা করেন।

নামাজে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোটার সভাপতি জনাব গোলাম কুদ্দুস, গীতিকার শহিদুল্লাহ ফারায়জী, সংঙ্গীত পরিচালক মানাম আহম্মেদ, কন্ঠশিল্পী নকিব খান, সমাজ কর্মী জাকিয়া শিশির, প্রামাণ্যচিত্র নার্মাতা ও নদী কর্মী সুমন শামসশহ অশংখ্য ভক্ত শ্রোতাবৃন্দ।

জানাজা শেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের সামনে এই জনপ্রিয় শিল্পীকে শ্রোদ্ধা জানিয়ে এক মিনিটের নিরবতা পালন করে শিল্পীকে তার নিজ গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় সমাহিত করার উদ্দশে একটি লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স রাজধানী ঢাকা শহর ছেড়ে যায়।

চলে গেলেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী। আধ্যাত্মিক ও লোকগানের এই প্রথিতযশা শিল্পী চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সোয়া দুটার পর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহে…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে আর অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, বাঁশিবাদক বারী সিদ্দিকী হৃদরোগ ছাড়াও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ১৭ নভেম্বর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে বারী সিদ্দিকীকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক আবদুল ওয়াহাবের তত্ত্বাবধায়নে সাত দিন আইসিইইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হলেও তার অবস্থার অবনতি ঠেকানো যায়নি।

দীর্ঘদিন সঙ্গীতের সঙ্গে থাকলেও শিল্পী হিসেবে বারী সিদ্দিকী পরিচিতি পান ১৯৯৯ সালে। ঐ বছর লেখক-নির্মাতা হ‌ুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিটি মুক্তি পায়। এই ছবিতে তিনি ছয়টি গান গেয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সংগীত পরিচালক ও মুখ্য বাদ্যযন্ত্রশিল্পী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে