


ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০১৭ (নোঙরনিউজ): মিয়ানমারের রোহিঙ্গা তিন স্তরের পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে চীন যার প্রথমটি হবে রাখাইনে অস্ত্রবিরতি। এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য যাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নিজ দেশে ফেরত যেতে পারে।
মিয়ানমারে আসেম সম্মেলনে ৫১টি এশীয় ও ইউরোপীয় কুটনীতিকদের সামনে এই প্রস্তাব তুলে ধরেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই। বাংলাদেশ সফর শেষে মিয়ানমারে যাওয়া ওয়াং ই বলেন, আমি বিশ্বাস করি পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
চীনের প্রস্তাবের প্রথম ধাপে রয়েছে, রাখাইনে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করা যাতে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত আসতে পারে। যখন অস্ত্রবিরতি সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হবে তখন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সরকারের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন করতে হবে। এবং চূড়ান্তভাবে রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নিশ্চিত করতে হবে যাতে দারিদ্র বিমোচন গুরুত্ব পাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বরাতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সব পক্ষের চেষ্টায় ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে এবং এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যাতে অবস্থার অবনতি না হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি তিন কিয়াওকে বলেছেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ উভয় দেশের বন্ধু হিসেবে চীন রাখাইন ইস্যুর সমাধানে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে চায়।
এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন মিয়ানমার সফরে এসে প্রায় একই কথাগুলো বলেছিলেন। তবে তিনি রাখাইনে সংঘটিত সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানিয়ে ছিলেন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। রয়টার্স।