শরীয়তপুরে একাধিক নারীকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ ওঠার পর স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭ (নোঙরনিউজ) : বহিষ্কৃত মো. আরিফ হোসেন হাওলাদার ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারয়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াসিম তালুকদার বলেন, নারীদের সঙ্গে নারয়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন হাওলাদারের অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মী, পুলিশ ও কয়েকজন নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আরিফ হোসেন গোসলখানায় গোপন ক্যামেরা রেখে স্থানীয় এক নারীর অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন। ওই ভিডিও দেখিয়ে পরে তাকে ধর্ষণ করেন।
এছাড়া আরিফের কলেজ পড়ুয়া চাচাত বোন এবং এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর এক স্ত্রীও তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।
কয়েকজন নারী বলেন, ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে আরিফ অনেক নারীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত এক কলেজছাত্রী বলেন, আরিফ তার জীবনটা ধবংস করে দিয়েছেন। লজ্জায় এখন তিনি কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত আরেক নারীর বোন বলেন, “আমার বোনকে গোপন ক্যামেরায় ভিডিও করে আরিফ হোসেন ভয় দেখিয়ে কয়েক দফায় টাকা নিয়েছে। একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। সে এখন লোকলজ্জায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না।”
এ ব্যাপারে আরিফ হোসেন হাওলাদার বলেন, মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। এর আগে তার কলেজছাত্রী তার চাচাত বোনের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
আরিফ বলেন, কিছুদিন আগে তার মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। এরপর তার ফেইসবুকের মাধ্যমে এক নারী তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ওই নারী।
এ ঘটনায় আরিফ ভেদরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বলে জানান।
তার দাবি, “কে বা কারা আমাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর জন্য এসব অশ্লীল ভিডিও আপলোড করেছে। এ ভিডিও ছড়ানোর বিষয়ে আমি জানি না।”
ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, আরিফ হোসেন হওলাদারের সঙ্গে নারীদের অশ্লীল ভিডিও বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে খবর পেয়ে আরিফদের বাড়ি গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
“এ ঘটনায় কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি।”