প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছে

    0
    820

    {CAPTION}
    রবিবার, ১ জানুয়ারি ১৭, নোঙরনিউজ ডটকম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি ইংরেজি নতুন বছর ২০১৭ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে গতকাল সকলে মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, ‘দেশবাসী, প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারা রক্ষা এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে ২০১৬ সাল বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল বছর। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গতবছর ছিলো বাংলাদেশের জন্য সাফল্যময় বছর। তাঁর বাণীতে বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশ অনেক এগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি স্বরূপ তথ্য-প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট এ্যাওয়ার্ড ২০১৬’ পেয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার পরিমাণ ৩ গুণের অধিক বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রাকে ‘একটি বিশাল অর্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছে। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনারও প্রশংসা করেছে। তিনি বলেন, আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। বাণীতে আরো বলা হয়, ‘গতবছর সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি সূচক ছিলো ইতিবাচক। সাত শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ৩৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। গত ৮ বছরে ৫ কোটির বেশি মানুষ নি¤œবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উঠে এসেছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৬ ডলার। প্রাথমিক শিক্ষায় প্রায় শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার হার ৭১ শতাংশ। জনগণের দোরগোড়ায় স¦াস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আমরা প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্থানীয় স¦াস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি। চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং নতুন সমুদ্র বন্দর পায়রার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল ও বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলছে। জয়দেবপুর-ময়মনসিংহে ও ঢাকা-চট্টগ্রামে ৪ লেন চালু হয়েছে। ২০১৮ সালে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সকল বাধা ও ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। একের পর এক বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী সকল যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের আওতায় আনব এবং শাস্তি কার্যকর করব। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমাদের সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। গত নির্বাচনের মাধ্যমে আমার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করেছি। অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ করেছি। নির্বাচিত ব্যক্তিরা দেশ পরিচালনা করবে-এ পদ্ধতি নিশ্চিত করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন ‘রোল মডেল’। ২০২১ সালের আগেই আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করবো, ইনশাআল্লাহ।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরাতন বছরের সব জঞ্জাল ধুয়ে-মুছে যাক নতুনের আহ্বানে। আমাদের সবার জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক নতুন বছর। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এ প্রার্থনা করছি।

    একটি উত্তর ত্যাগ

    আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
    এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে