ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দেশবাসী দেখেছে সব ধরনের ছাত্র আন্দোলন দমনে ছাত্রলীগ কিভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।
এমনকি ৫ আগস্টের পরও তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লাগাম টানতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজওয়ানা হাসান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আর একটা বড় কারণ হচ্ছে- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তারা নৃশংস আক্রমণ চালিয়েছে। আবার এখনও তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, একটি সংগঠনের সন্ত্রাস বসে বসে দেখার কোন কারণ থাকতে পারে না। সরকারকে যেহেতু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাস দমনের, তাই আমরা প্রাধিকারের বিবেচনায় ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে রিজওয়ানা হাসান জানান, ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো সংগঠন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেই তাদের। নিষিদ্ধ সংগঠনের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও উদ্যোগ আপাতত নেই।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের চেয়ে এখানে আইনগত, দেশের জননিরাপত্তা এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অখণ্ডতার মত বিষয় প্রাধিকার পেয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমতের প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, ছাত্রলীগের যারা দোষী তাদেরকে অব্যশই আইনের আওতায় আনা হবে। বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে সংবাদমাধ্যমে ছাত্রলীগের প্রচার-প্রচারণা থাকতে পারে না উল্লেখ করে মাহফুজ আলম ছাত্রলীগের কোন ধরনের প্রচারণা সংবাদমাধ্যমে প্রচার বা প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে হুমকি দেওয়া ও ঘেরাওয়ের মত ঘটনা সরকার বরদাশত করবে না। এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি।
সংবিধান সংশোধন হবে নাকি পুনর্লিখন হবে- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে মাহফুজ আলম বলেন, কোন একক ব্যক্তির মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। সংবিধান সংস্কার কমিশন সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
ভারতের ভিসা প্রসেঙ্গ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশে এখন এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, যাতে কোনো দেশ ভিসায় রেস্ট্রিকশন (বিধিনিষেধ) দিতে হবে।