প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১, ২০২৪, ১২:৩১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ৩:৩২ অপরাহ্ন
ভোলায় মা ইলিশ রক্ষায় ২২দিন নদ-নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে
ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন দিন ভোলায় সব নদ-নদীত মাছ ধরার উপর নিষধাজ্ঞা চলমান থাকায় মাছ ধরা বন্ধ থকবে।
এ অভিযান সফল করত মৎস্য বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নদীতে অভিযান শুরু করেছ। এতে করে রোববার ১৩ অক্টোবর সকাল থেকে জেলে শূন্য হয়ে পড়েছে দ্বীপ জেলা ভোলা ও তৎসংলগ্ন মেঘনা,তেঁতুলিয়া ও ইলিশা নদী। কর্মহীন হয়ে পড়েছে জেলার দুই লক্ষাধিক জেলে। এসব জেলেরা এখন অলস সময় পার করছেন।
পরিবার পরিজন নিয়ে তারা সরকারী অনুদানের অপেক্ষায় আছেন। তাদের সাহায্যে ইতিমধ্যেই কোথাও ভিজিএফ'র চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যেসব ব্যক্তি মাছ শিকারে নদীতে নামবার পায়তারা করছে,তাদের ব্যাপারে প্রশাসন সতর্ক রয়েছেন।
গত শনিবারও ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বুকে অসংখ্য জেলে ট্রলার ও নৌকা নিয়ে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করেছে জেলেরা। আবার কেউবা ব্যস্ত ছিলেন-মাছ ধরে তা বিক্রির জন্য মৎস্যঘাট গুলোতে। কিন্তু সোমবার দেখা গেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র।
সকাল থেকেই জেলে শূন্য ভোলার নদ-নদী। মাছঘাটের আড়ৎগুলোতে নেই আর বেচা বিক্রির হাঁক-ডাক,লোক সমাগম। যেনো সেখানে নেমে এসেছে এক ধরনের নিরবতা। কর্মহীন জেলেদের কেউ কেউ নদীর তীর বসে অলস সময় পার করছেন । আবার কেউ নদী থেকে উঠিয়ে আনা জাল বুনে রক্ষণা বেক্ষণ করে সময় পার করছন। ভোলার ইলিশা মেঘনা তীরে কথা হয়,রতন মাঝি,আবুল কাসেম ফরাজী ও বদরুল মাঝির সাথে। তাদের সবার একই দাবি।আর তা হচ্ছে-সরকারের বরাদ্দকৃত জেলেদের চাল যেনো প্রকৃত জেলেরাই পান। আবার অনেকে ভাবছেন,দ্রব্য মূল্যর উচ্চ বাজারে পরিবার পরিজন নিয়ে ২২টি দিন কিভাবে পার করবেন । যদিও তাদের কোনো চিন্তার কারণ নেই বলে জানালেন, ভোলার মৎস্য বিভাগ।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা সফল করতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির ফলে জেলেশূন্য ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী। ঘাটগুলো থেকে নদীতে ছেড়ে যাচ্ছেনা মাছ ধরার নৌকা-ট্রলার। জেলা-উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে টহল অভিযান পরিচালনা করছেন কোষ্টগার্ডসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বাসস'কে জানান, মৎস্য বিভাগের ১৭ টি টিম ২৪ ঘন্টা সার্বক্ষণিক নদীতে অবস্থান করে টহল দিচ্ছেন। পাশা পাশি নৌ পুলিশ, কোষ্টগার্ড,নৌ বাহিনী তাদের সহায়তা করছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নের জেলেদের মধ্যে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ শুরু হয়েছে বলেও ভোলার জেলা মৎস্যকর্তা বাসস'কে নিশ্চিত করেছেন।
কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোন ষ্টাফ অফিসার লেঃ কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর, গণমাধ্যমকে জানান,ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে কোস্টগার্ড জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি জন্য লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, পোস্টারিংসহ নানা ভাবে প্রচার অভিযানের পাশাপাশি নদীতে টহল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরকারি হিসেবে ভোলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এক লক্ষ ৬৫ হাজার। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৪১ হাজার জেলে নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারি প্রণোদনার ২৫ কেজি করে চাল পাচ্ছেন।