মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামে বাঙালি নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঙালি নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এই গ্রামের প্রায় ২৫টি পরিবারের লোকজনের বাড়িঘর বাঙালি নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তারা এখন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের বসতভিটা বিলীন হয়েছে বাঙালি নদীতে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পারতিত পরল এবং চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের মানুষের সারা বছরের ভাতের জোগান দেয় বেড়ার বিলসহ তিতপরল পাথারের বিশালাকার ফসলের মাঠ। বাঙালি নদীর ভাঙনে সেই পাথারের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল এখন হুমকিতে রয়েছে। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের ৫ হাজারের বেশি মানুষ বাঙালি নদীর ভাঙনের শিকার হবেন। চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের ফসল উৎপাদনের জন্য স্থাপিত বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের গভীর নলকূপটি গত কয়েকদিন আগে বাঙালি নদীতে বিলীন হয়েছে।
এ গ্রামের মানিক সরকারের স্ত্রী শিবানী রানী বলেন, বাঙালি নদীর ভাঙনের শিকার হয়ে নদীর কিনারায় মানুষের জমিতে আশ্রয় নিয়েছি। বাড়ি থেকেই নদী ভাঙনের আওয়াজ শোনা যায়। যেকোনো সময় আবারো আমার বাড়িটা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মৃত তবিবর প্রামাণিকের ছেলে সানাউল্লাহ প্রামানিক বলেন, গত কয়েকদিনের বাঙালি নদীর ভাঙনে আমার বেশ কয়েক বিঘা মরিচ এবং আমন ধানের জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এভাবে নদী ভাঙতে থাকলে আমার সবটুকু ফসলি জমিই বাঙালিতে বিলীন হবে। সারাবছর আমার সংসার কি খেয়ে বাঁচবে এ চিন্তায় আছি।
স্বত্বাধিকারী নোঙর নিউজ | ও সম্পাদক - সুমন শামস
Developed by KetNey Pvt .Ltd. and UnivaHost