প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১, ২০২৪, ৬:৩৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ২:০৪ পূর্বাহ্ন
নীলফামারীতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি, বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
নীলফামারী জেলায় শনিবার অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় জেলার ডিমলার ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজস পয়েণ্টে নদীর পানি বিপদসীমার পাঁচ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেখানে শনিবার সকাল নয়টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ১৫ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহি হয়েছিল নদীর পানি। ডালিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে,
আজ শনিবার সকাল নয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বেলা ১২টায় ১০ সেণ্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। এতে করে বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পাঁচ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এরআগে গতকাল শুক্রবার সকাল নয়টায় ওই পয়েণ্টে ৩৯ সেণ্টিমিটার, বেলা ১২টায় ৩৫ সেণ্টিমিটার এবং বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ৩২ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। ওই পয়েণ্টে নদীর পানির বিপদসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। গতকাল শুক্রবার জেলায় ১৩৯ মিলিমিটার এবং আজ শনিবার ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নীলফামারীতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, জেলায় মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১২টার পর থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীরা পাঁচ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গত ২৪ ঘন্টায় পূর্বের দিনের তুলনায় বৃষ্টিপাত হ্রাস পেয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে।
এদিকে, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের নিম্নাচঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এসব গ্রামের পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, এলাকার পূর্বছাতনাই ও ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় একহাজার দুইশ’ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।