আড়াইহাজারে মেঘনা নদীতে বিভিন্ন নৌযানে অবাধে চলছে চাঁদাবাজি। চাঁদাবাজদের এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ নৌযান মালিকসহ নৌপথের ব্যবসায়ীরা। এ কারণে নৌপরিবহনের ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন নৌযান মালিকরা। কারণ রাত পোহালেই দিতে হয় চাঁদা।
নৌযান মালিক ও শ্রমিকরা জানান, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, কিশোরগঞ্জসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে পাথর, বালু, কয়লাসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজ মেঘনা নদীর আড়াইহাজার উপজেলার দয়াকান্দা- বিবির কান্দি এলাকা দিয়ে নুনেরটেক, বৈদ্যেরবাজার ও মেঘনা সেতু এলাকা হয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুরসহ আশপাশের জেলায় যাতায়াত করে। রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে আড়াইহাজার অংশে ব্যাপক চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়। নৌযান মালিক-শ্রমিকদের। প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজরা তাদের মারধর করে নদীতে ফেলে দেয়।
এদিকে প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে বারবার অভিযোগ করা স্বত্বেও কোনো প্রতিকার নেই বলে অভিযোগ নৌযান মালিকদের। নৌযান ও স্থানীয়ভাবে চলাচল করা বিভিন্ন বালুবাহী ট্রলার, যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ছোট ছোট নৌকায় করে প্রতিদিন চাঁদাবাজি করছে চাঁদাবাজরা। আড়াইহাজারের বিশনন্দী ইউনিয়নের দয়াকান্দা এবং কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের বিবিরকান্দি অংশে চাঁদাবাজরা স্পিডবোট দিয়ে বিভিন্ন ধরণের নৌযানে চাঁদাবাজির মহোত্সব চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ৫/৬ জন মিলে প্রতিদিন স্পিডবোট যোগে এই চাঁদাবাজি করে থাকে। নৌযানের ধরণ অনুযায়ী চাঁদার হার নির্ধারণ করে চাঁদা নেয়া হয়। নৌযান ভেদে ৩‘শ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে স্থানীয় চাঁদাবাজরা।
এ বিষয়ে সম্পর্কে খাগকান্দা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘কি করে বলবো। আমি এই গ্রামে নতুন এসেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে ম্যাজিস্ট্রেট, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশ দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আলমগীর হোসেন বিপিএম বলেন, ‘নৌপথে চাঁদাবাজির ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স। নৌপথে কোনো চাঁদাবাজকেই ছাড় দেওয়া হবে।’ ইত্তেফাক