প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১, ২০২৪, ৫:৩২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ২:০৭ পূর্বাহ্ন
কালভার্ট এবং ডাকাতিয়া খাল খননের অভাবে ৭ মাস পানিতে ডুবে থাকে কুমিল্লার সাহাপুর গ্রাম
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় পানিবন্দী লাখ মানুষের পাশে নোঙর ট্রাষ্ট।
ডাকাতিয়া নদীর শাখা ডাকাতিয়া খাল ভরাট হবার কারণে সম্প্রতি বন্যার পানিতে ডুবে আছে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরেশপুর ২ নং ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রাম। বণ্যা পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার পানি নেমে গেলেও এ অঞ্চলের অধিকাংশ ঘরবাড়ি এখনো বিষাক্ত পনির নিচে।
এত করে স্থানীয় শিশু-কিশোর, নারী-পুরষসহ সকল বয়সী মানুষ এক কঠিন দূর্ভোগে পড়েছেন। এ ছাড়াও প্রতি বছর বর্ষা কালের পানি বছরের ৭ মাস জমে থাকে। তখন স্থানীয়রা নৌকা দিয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়াত করছেন।
গত বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় সরেজমিন পরিদর্শনের সময় বন্যার্ত মানুষের জন্য জরুরী সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ বিতরণ করে নোঙর ট্রাস্ট। বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল কোয়ার বিডি’ গ্রুপে’র সৌজন্যে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সহযোগিতা বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন নোঙর ট্রাস্ট চেয়ারম্যান সুমন শামস, কেন্দ্রেীয় কমিটির সদস্য ফজলে সানি এবং অসিতবরণ সরকার।
কুমিল্ল জেলায় বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিশুদ্ধ পানির সংকটে দেখা দিয়েছে। টিউবওয়েল ও টয়লেট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে স্থানীয় মানুষ। জেলার বুড়িচং, ব্রাক্ষণপাড়া, লাকসাম, চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় প্লাবিত হওয়ায় বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে প্রায় দশ লাখ মানুষ।
বন্যায় জেলায় অসংখ্য কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বন্যার পানি কমার সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট, টিউবওয়েল থেকে বের হচ্ছে ময়লা পানি। ব্যবহার করা যাচ্ছে না টয়লেট, পানিতে তলিয়ে ভরপুর হয়ে গেছে। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। জেলায় চলমান বন্যায় প্রায় ২ হাজার ৫০০টি টিউবওয়েল ও প্রায় ৪ হাজার টয়লেট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক হাবিবুল্লাহ নামের এক প্রবীণ বলেন, ‘পানি না নামার কারণে আমরা অনেক সমস্যায় আছি। এই পানতে নামা যায় না, খাওয়া যায় না, ব্যাবহার করা যায় না। সবাই অনেক কষ্টে আছে।’ তিনি আরো বলেন, এ সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে সাত মাস ধরে পানিবদ্ধ খাকার কারণে আমাদের এই এলাকায় প্রতি বছর শুধু একটা ফসল হয়! ডাকাতিয়া নদীর শাখা ডাকাতিয়া খাল খনন করলে পানি থাকবে না। এই খাল খনন করা জরুরী।
এ ছাড়াও এ এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে নির্মা ণ করাকালর্ভাট একটা বড় সমস্যা। যেখানে ২০ ফুট খাল ছিলো সেখানে ১০ ফুট কালর্ভাট করার জন্য পানি সরতে পারে না। তাই বিলের পানি খালে যেতে সমস্যা হয়। এই কালর্ভাট ভেঙ্গে আবার সঠিক ভাবে নির্মাণ করতে হবে।