প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিসের মালিকানাধীন ও পতাকাবাহী এমভি সৌনিয়ন প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল নিয়ে যাত্রা করছিল। যাত্রাপথে জাহাজটি ২১ আগস্ট ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আক্রান্ত হয়। পরে এর ক্রুরা জাহাজটি পরিত্যাগ করে। হুতি যোদ্ধারা পরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটায়।
ইউরোপীয় মিশনের মতে, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে, ‘বেসরকারি অংশীদারদের’ অন্তর্গত তিনটি জাহাজ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং তাদের একটি যুদ্ধজাহাজ দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়েছে।
এদিকে সৌনিয়নের গন্তব্য কোথায় তা জানানো হয়নি। তবে সৌদি আরব উদ্ধারকারীদের তেল খালাসে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছে বলে খবর রয়েছে। এ ছাড়া অপারেশন আস্পাইডেস নামের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামরিক অভিযান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে, ‘উদ্ধার অভিযানের এই পর্যায়ের সমাপ্তি সমগ্র অঞ্চলকে প্রভাবিত করার মতো পরিবেশগত বিপর্যয় রোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সব অংশীদারের মধ্যে ব্যাপক পদ্ধতিগত ও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ফলাফল।
সৌনিয়ন থেকে সম্ভাব্য তেল ছড়িয়ে পড়লে তা ১৯৮৯ সালের এক্সন ভালডেজ বিপর্যয়ের প্রায় চার গুণ বড় হতে পারত। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সেই বিপর্যয়ে আলাস্কা উপকূলে একটি ট্যাংকার ডুবে যাওয়ার পর দুই হাজার ১০০ কিলোমিটার এলাকাকে দূষিত করেছিল।
ইরান সমর্থিত হুতারা আগস্টের শেষের দিকে বলেছিল, তারা সৌনিয়নকে ইয়েমেন থেকে সরিয়ে নিতে অনুমতি দিয়েছে। তাদের সঙ্গে ‘বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পক্ষ’ যোগাযোগ করেছিল। তারা আরো জানিয়েছে, ট্যাংকারে আক্রমণ ইয়েমেনি অবরোধ লঙ্ঘনকারী যেকোনো জাহাজকে আক্রমণ করার ব্যাপারে তাদের কঠোরতা প্রকাশ করে।
স্বত্বাধিকারী নোঙর নিউজ | ও সম্পাদক - সুমন শামস
Developed by KetNey Pvt .Ltd. and UnivaHost