প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১, ২০২৪, ১০:২৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ৫:০২ অপরাহ্ন
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেজরিওয়ালের
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল ছয় মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে দুই দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
রোবরার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক দলীয় সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি। তার এ সিদ্ধান্তে তার সমর্থক এবং বিরোধী নেতারা বিস্মিত হয়েছেন। খবর এনডিটিভি।
কেজরিওয়াল বলেন, 'দুই দিন পর আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করব। জনগণের রায় না পাওয়া পর্যন্ত আমি দায়িত্বে ফিরব না। দিল্লিতে নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস বাকি। আমি আইনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি, এখন জনগণের আদালতে থেকে বিচার চাই।'
সভায় একটি নাটকীয় পরিবেশ তৈরি করে কেজরিওয়াল আরও বলেন, 'জনগণের ইচ্ছাতেই আমি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব। আমি দিল্লির জনগণকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, কেজরিওয়াল কি নির্দোষ না দোষী? যদি আমি আপনাদের জন্য কাজ করে থাকি, তবে আমাকে ভোট দিন।'
তিনি তার পদ নিয়ে জনতার সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। জেল থেকে ফিরে সম্মানের সঙ্গে পুনরায় দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। এএপি শিগগিরই একটি সভা করে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবে।
এ বিষয়ে কেজরিওয়াল বলেন, তার পদত্যাগের পর একজন দলীয় সদস্যকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হবে এবং তিনি জনগণের সমর্থন চাইবেন। তিনি আরও বলেন, দিল্লির নির্বাচন, যা ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা, তা মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের সঙ্গে নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হতে পারে।
কেজরিওয়াল তার ভাষণে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন, একে ব্রিটিশদের চেয়েও স্বৈরাচারী বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, 'গণতন্ত্র রক্ষার জন্যই আমি গ্রেপ্তার হওয়ার পরও পদত্যাগ করিনি।'
তিনি আরও জানান, সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার সঙ্গেও তিনি আলোচনা করেছেন, যিনি সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন। সিসোদিয়া বলেছেন, জনগণ যদি তাদের সৎ বলে মনে করে, তবেই তিনি পুনরায় দায়িত্ব নেবেন।
বিজেপি নেতা হরিশ খুরানা কেজরিওয়ালের পদত্যাগের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন, কেন তিনি ৪৮ ঘণ্টা পর পদত্যাগ করবেন। খুরানা বলেন, 'আজই তার পদত্যাগ করা উচিত। অতীতেও তিনি এমন করেছেন। দিল্লির মানুষ জানতে চায়, তিনি কেন সচিবালয়ে গিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।'
বিজেপি আগাম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে খুরানা বলেন, 'আজ হোক বা কাল, আমরা প্রস্তুত। আমরা ২৫ বছর পর দিল্লির ক্ষমতায় ফিরব।'
দিল্লি কংগ্রেস কেজরিওয়ালের পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা দেবেন্দ্র যাদব বলেন, 'যদি তিনি দিল্লির বন্যা ও পানীয় জলের সংকটের সময় পদত্যাগ করতেন, তবে সেটি আরও ভালো হতো। আশা করছি, দিল্লি দ্রুত একজন নতুন মুখ্যমন্ত্রী পাবে, যিনি তার অফিসে গিয়ে নথিপত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন।'