ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত

0
3

কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত ৫০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে কম হলেও ১০ থেকে ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এর ফলে ফসলী জমি, ক্ষেত খামার, চিংড়ি মাছের প্রজেক্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টানা তিন দিন ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে।
প্লাবিত হওয়া ৫০টি গ্রামের মধ্যে রয়েছে- হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম, হ্নীলা ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম, টেকনাফ পৌরসভার ৪টি গ্রাম, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ২টি গ্রাম, সাবরাং ইউনিয়নের ৩টি গ্রাম, বাহারছড়া ইউনিয়নের ২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।  এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপেও নিম্মা অঞ্চল এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর জানিয়েছেন স্থানীয় নুরুল আবছার নামে এক বাসিন্দা।

ওয়াব্রাং এলাকার এক বাসিন্দা বলেন,  নাফনদীর স্রুলিশের কাছ চলছে, যার কারণে জোয়ারের পানি গ্রামে চলে আসে এবং কৃষি ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নের প্রায় ৪ গ্রামের ৪ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এসব গ্রামগুলোর মধ্যে- জালিয়াপাড়া, সাইটপাড়া, ফুলের ডেইল, আলী আকবর পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, আলীখালি, চৌধুরী পাড়া, পূর্ব পানখালী, মৌলভীবাজার লামার পাড়া, ওয়াব্রাং, সুলিশপাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া। এসব গ্রামের চলাচলের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এবং আজকে মাইকিং করার হচ্ছে পাহাড় ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে, সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য জানানো হয়েছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি জানিয়েছেন, লম্বা বিল, উলুবনিয়া, আমতলি, মিনাবাজার, উনচিপ্রাং, কাঞ্চনপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, রইক্ষ্যং গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সাড়ে ৩০০ পরিবার সব চেয়ে বেশি প্লাবিত রয়েছে। এর মধ্যে উনচিপ্রাং এলাকার একটি রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বসতবাড়িগুলোতে প্রায় ২ থেকে ৩ ফুট পানি উঠেছে।
বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান, ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষ কম বেশি পানিবন্দি। এতে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে ১০ গ্রাম। এতে ২ হাজার পরিবার খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে