প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১, ২০২৪, ১০:৩২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ২৯, ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
খাগড়াছড়িতে বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠেছে
পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে বন্যা পরবর্তী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠেছে। গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো, কৃষিখাত ও কাঁচা ঘরবাড়ি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মো. শহীদুজ্জামান দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে পুণর্বাসনের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন।
পরপর চারবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে খাগড়াছড়ি। জেলা সদর ছাড়াও দীঘিনালা, রামগড় ও মহালছড়ি উপজেলায় বন্যায় কবলিত হয়েছে বেশি।
জেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সূত্র অনুযায়ী এই দূর্যোগে জেলায় প্রায় ৪০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ধীরে-ধীরে সৃষ্ট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে অসংখ্য গরীব পরিবারের কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়েছে। চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদীর তীরবর্তী মানুষের ঘর-বাড়ির টিন, আসবাবপত্র ও গবাদি পশু ভেসে গেছে। ফলে পানি সরে যাওয়ার ৬/৭ দিন পরও তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি।
ভয়াল বন্যায় জেলার গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সূত্র মতে, জেলায় ১০৭ কিলোমিটার রাস্তা, ১৪টি কালভার্ট ও ৩টি সেতুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া কৃষিখাতেও ২ হাজার ১২৪ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতির তথ্য দিয়েছে কৃষি বিভাগ। এরমধ্যে রোপা আমন, আউশ ও গ্রীস্মকালীন শাক-সবজি রয়েছে। ফলে ৬ হাজারের বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।
তবে জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা নাজমূল আজম মজুমদার জানিয়েছেন, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম রবিশষ্য চাষে প্রণোদনা দেয়া হবে।
এলজিইডি‘র নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা বলেন, যোগাযোগ সচল রাখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এছাড়া খাগড়াছড়ির বন্যার্তদের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৫০২ টন খাদ্যশষ্য ও নগদ সাড়ে ১২ লাখ টাকা রবাদ্দ করেছে। এর বাইরেও সেনাবাহিনী, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ত্রান সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।