প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২, ২০২৪, ১:১৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ২৭, ২০২৪, ১:২৯ পূর্বাহ্ন
কসবা-আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
জেলার আখাউড়ায় ও কসবায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি কমে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন বন্যা দুর্গতরা। তবে তারা বাড়ি ফিরে একেবারেই হতাশ। কিছুই পাচ্ছেন না তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হাওড়া নদীর পানি, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ও কসবায় গত ২১ আগস্ট থেকে সৃষ্ট বন্যার কারণে আখাউড়ায় বন্যা হয়। এতে উপজেলার বঙ্গেরচর, কালিকাপুর, বাউতলা, আড়িয়ল ও খলাপাড়াসহ ৩৪টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। এরই মধ্যে বেশিরভাগ বাসাবাড়ি থেকে পানি সরে গেছে। তবে বন্যার কারণে আড়িয়ল ও খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর দুটি বাঁধসহ অন্তত ৮টি স্থানে সড়ক ধসে পড়ে। এতে ওইসব সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে জেলার কসবা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে পানিতে প্লাবিত হয়েছিল ২৬টি গ্রাম। তার মধ্যে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক, বিদ্যানগর, পুটিয়া, খাদলা, মাদলা, বেলতুলি, শ্যামপুর। গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর, সৈয়দপুর, রামপুর ও কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের রহোরামপুর গ্রামে জলাবদ্ধতা রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর আহমেদ জানান, আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হেেয়ছে। হাওড়া নদীর পানি অব্যাহত হ্রাস পাচ্ছে। সোমবার দুপুের ২৪ ঘণ্টায় পানি ১০ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৬৭ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বন্যার পানি চলে যাওয়য় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে বন্যা দুর্গতরা। তবে তারা বাড়ি ফিরে দেখছেন, বন্যার পানিতে তাদের সব কিছু ভেসে গেছে। আবার যা কিছু আছে তা, আবার ব্যাবহার যোগ্য না। বিদ্যানগর গ্রামের আমেনা খাতুন (৫৫) জানান, ঘরে এসে দেখি কিছুই নাই। সব চলে গেছে। মাদলা গ্রামের খোকন মিয়া জানান (৪০) জানান, বাড়িতে ঠিকই আসছি, যাওয়ার সময় কিছু নিয়ে যেতে পারি নাই। একই গ্রামের ফাতেমা বেগম জানান, মাটির চুলা মাটির সাথে মিশে গেছে।
এখন যে অবস্থা এ কাঁদা মাটিতে চুলা তৈরি করা যাবে না। এসময় বাড়ি ফিরলেও সংসারের রান্না করা নিয়ে তিনি টেনশনে আছেন। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, আখাউড়ার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। এই উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছিল। তিনি আরও জানান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত’ ৫০ হাজার লোক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার জানান কসবার ৩টি বন্যার পানি প্রবেশ করেছিল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ হাজার লোক।
এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম জানান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আখাউড়ায় ৩৫ মে.টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫শত শুকনা খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আর কসবায় ১০মে.টন চাল, নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৫শত শুকনা খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।