পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা বাঁধে পানির চাপ বাড়লেও তিস্তায় বন্যার শঙ্কা নেই

0
3

তিস্তার উজানে ভারতের সিকিমে পাহাড় ধসে গেছে তিস্তা নদীর ওপরে নির্মিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি বাঁধ। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা বাঁধে পানির চাপ বাড়লেও তিস্তায় বন্যার শঙ্কা নেই।

তিস্তা পাড়ের মানুষদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেছেন পানি উন্নায় বোর্ডের কর্তৃপক্ষ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বললেও বন্যার শংকায় আতঙ্কে দিন পাড় করছে নদীপাড়ের মানুষগুলো । তারা বলছেন, কখন ভারত পানি ছেড়ে দিবে তার কোন সময়সীমা নেই । অসময়ে পানি ছেড়ে দিয়ে দু’কুল ভাসিয়ে দিবে ভারত । তাই আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
শুক্রবার(২৩ আগস্ট ) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমা ৭৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমা
৬৫ নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এদিকে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। গত দুই দিনে তিস্তা নদীর ডান তীর লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের হরিনচড়া গ্রামে নদীভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে ভাঙ্গন হুমকিতে রয়েছে শতাধিক পরিবার। নদীগর্ভে চলে গেছে ৩শত বিঘা জমির ধান সবজী সহ ফসলের ক্ষেত। তিস্তা পাড়ে লোকজন ভাঙ্গন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। পানি উন্নয়ণ বোর্ড ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেললেও তা কোন কাজে আসছেনা।
জানা গেছে, গত দুই দিন থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে তিস্তা পাড়ের হাজারও মানুষ আতঙ্কে দিন পার করছেন। উজানের ঢল যেকোনো সময় লালমনিরহাটে প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে- এমন শঙ্কায় নির্ঘুম রাত পার করছে।
তিস্তা পাড়ের কদম আলী বলেন,গত দু’দিন ধরে তিস্তার পানি একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে বলছেন ভারতের বাঁধ ভেঙ্গে তিস্তা নদীতে বন্যা শুরু হবে। তাই গত দুইদিন ধরে আতঙ্কে আছি।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, তিস্তার পানি বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। তিস্তা পাড়ের মানুষদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, জেলার কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাক ফেলে ভাঙ্গন রোধের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে