স্বাধীনতা উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর রোপণ করা নারিকেল গাছটি কোথায়, কেমন আছে?

0
33
১৯৭২ সালে রমনা মাঠে (রেসকোর্স ময়দান) বঙ্গবন্ধু নারিকেলের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে উদ্যান তৈরির উদ্বোধন করেন। নাম রাখেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ফটো সংগৃহীত

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী কর্মকাণ্ড থেকে বাদ যায়নি বৃক্ষরোপণের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও।

আমরা এখন যা কেবল ভাবতে শুরু করেছি, তিনি ভেবেছিলেন আরও পঞ্চাশ বছর আগে। এ দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে তিনি বৃক্ষরোপণের ওপরই জোর দিয়েছিলেন বেশি। তাঁর এই উপলব্ধির বহিঃপ্রকাশও ঘটেছিল নানাভাবে। সদ্য স্বাধীন দেশে তিনি সবাইকে বৃক্ষপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য গণভবন, বঙ্গভবন ও বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ লাগিয়েছিলেন।

১৯৭২ সালে রমনা মাঠে (রেসকোর্স ময়দান) ঘোড়দৌড়ের মাধ্যমে জুয়াখেলা বন্ধ করে বঙ্গবন্ধু নারিকেলের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে একটি উদ্যান তৈরির উদ্বোধন করে উদ্যানটির নামকরণ করেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত দীর্ঘ নারিকেল বীথিগুলো বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত অনন্য উপহার। ধারণা করা হয়, একই সময়ে এই নারিকেল গাছগুলোও লাগানো হয়েছিল। তবে তিনি সেদিন কোন গাছটি লাগিয়েছিলেন, তা এখন আর শনাক্ত করা যায় না।

১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সুন্দরবনসহ দেশের অন্যান্য বনজ সম্পদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন। এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ লাগিয়ে বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু অনাবাদী জমি, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতসহ খালি জায়গাগুলোতে বৃক্ষরোপণ করার জন্য দেশের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে