পরের রাউন্ডে যেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে হবে ডেনমার্ককে

0
10

আগামীকাল আল জানুব স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্ক। এই গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে ইতোমধ্যেই দুই ম্যাচে জয়ী হয়ে ফ্রান্স পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে। সে কারনেই দ্বিতীয় দল হিসেবে কে যাবে তা নির্ধারিত হবে এই দুই দলের ম্যাচের ফলাফলের উপর।

ইতোমধ্যেই দুই ম্যাচে এক জয়সহ তিন পয়েন্ট নিয়ে কিছুটা হলেও ড্যানিশদের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে সকারুজরা। দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। শনিবার তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয়ী হয়ে অস্ট্রেলিয়া পূূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জণ করে। এটা ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিশ^কাপ আসরে তৃতীয় জয়। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ^কাপে সার্বিয়াকে হারানোর পর প্রথম জয়। ১২ বছর আগের ঐ জয় সত্বেও চার পয়েন্ট নিয়েও পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি সকারুজরা। এবারও ঠিক একই অবস্থানে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া। ডেনমার্কের সাথে পরাজিত হলে বিদায় নেবার শঙ্কাও রয়েছে তাদের সামনে।

ইউরোপীয়ান দলের বিপক্ষে তাদের বিশ্বকাপ রেকর্ড এখানে দু:শ্চিন্তার বিষয়। ইউরোপের দলগুলোর সাথে আগের ১১টি ম্যাচের আটটিতেই পরাজিত হয়েছে সকারুজরা। কিন্তু চার বছর আগে ডেনমার্কের সাথে তারা ১-১ গোলে ড্র করেছিল। এনিয়ে পাঁচ বিশ্বকাপে মাত্র একবার ২০০৬ আসরে অস্ট্রেলিয়া নক আউট পর্বে খেলেছিল। এবারের আসরে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভাল না হলেও তিউনিশিয়াকে দ্বিতীয় ম্যাচে হারিয়ে তারা লড়াইয়ে ফিরে এসেছে। প্রথম ম্যাচে ফ্রান্স ও পরে তিউনিশিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই আগে গোল করে লিড নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই প্রথমবারের মত তারা বিশ^কাপের কোন ম্যাচে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যাবার কৃতিত্ব দেখিয়েছে।

১৯৭৪ সালের পর প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের কোন ম্যাচে তারা কোন গোল হজম করেনি। তিউনিশিয়ার সাথে ১-০ গোলে জয়ী হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর তারই ধারাবাহিকতায় ডেনমার্কের বিরুদ্ধেও এগিয়ে যেতে চায়।

এদিকে ইউরোপীয়ান বাছাইপর্বে কোন দলই কোচ কাসপার হুলমান্ডের ডেনমার্কের মত এত পয়েন্ট অর্জন করেনি। কিন্তু সকারুজদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি তাদের বাড়ি ফেরত পাঠিয় দিতে পারে। ইউরো ২০২০’এ প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয় সত্তেও সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেছিল ডেনমার্ক। সেই রেকর্ড থেকে আত্মবিশ^াস পেতেই পারে ড্যানিশরা। বিশ^কাপে তাদের অতীত ইতিহাসও অস্ট্রেলিয়া থেকে সমৃদ্ধ। এ পর্যন্ত পাঁচটি আসরে চারবারই ডেনমার্ক নক আউট পর্বে খেলেছে। ফ্রান্সের কাছে আগের ম্যাচে পরাজয় ছিল পাঁচ ম্যাচ পর বিশ^কাপে তাদের প্রথম হার। এর আগে টানা চারটি ম্যাচে ড্র করেছিল ডেনমার্ক। লেস ব্লুজদের বিপক্ষে বিশ^কাপের মত বড় আসরে খেলার আবহটা বুঝতে পারেনি ড্যানিশরা। অথচ এ বছরই উয়েফা নেশন্স লিগে দিদিয়ের দেশ্যমের দলকে দুইবার হারিয়েছিল।

তিউনিশিয়ান বিরুদ্ধে জয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গোঁড়ালির ইনজুরির কারনে খেলতে পারেননি ডিফেন্ডার ন্যাথানিয়ল এ্যাটকিনসন। রাইট-ব্যাক হিসেবে তার স্থানে খেলেছিলেন ফ্র্যান কারাসিচ। এই একটি মাত্র পরিবর্তন নিয়ে অসিরা মাঠে নেমেছিল। কালকের ম্যাচে জয়ী দলটির উপরই ভরসা রাখতে চাইছেন কোচ গ্র্যাহাম আর্নল্ড।
এদিকে হাঁটুর ইনজুরির কারনে বিশ্বকাপে ড্যানিশ দল থেকে ছিটকে গেছেন থমাস ডিলানি। এ কারনে তার স্থানে মূল একাদশে ফিরেছেন মিকেল ডামসগার্ড।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে