সম্ভাবনাময় ‘আন্তঃমহাদেশীয় নৌপথ’

0
8

”সম্ভাবনাময় “আন্তঃমহাদেশীয়নৌপথ”গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে সবকিছুই এখন হাতের মুঠোয় থাকা এই বিশ্বকে এক সূত্রে গাঁথতে হবে। আমরা সবাই দেখি শুনি বা বোঝারচেষ্টা করি- নিজের মতো করে। আমরা শুধু নিজের জন্য ভাবলে বা করলে কিহবে? পুরো বিশ^কে নিয়ে ভাবতে হবে, পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সেইঅনুযায়ী সকলকে নিয়ে একত্রে এগিয়ে যেতে হবে। তাৎক্ষনিক অথবানিজেরটা ঠিক রেখে বাকিরা কি করছে, কেমন আছে জেনে পরিস্থিতিপর্যালোচনাপূর্বক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়নেরদিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি আমাদেরএই অঞ্চল সুজলা সুফলা সশ্য শ্যামলা। আমাদের এই অঞ্চলের নাকি গোলা =াধান। গোয়াল =া গরু আর দিঘি =া মাছ থাকত। ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্য থেকেবড় বড় বিজ্ঞ ব্যক্তিরা আমাদের এই অঞ্চলে এসেছে তাদের বর্ণনাতেই এগুলোআমরা পাই। কোথায় আমাদের সেই ঐতিহ্য, গৌরব আর স্বপ্ন ?০৯ মাস একটানা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানবাংলাদেশ নামক মানচিত্র বিশ^ গোলকে এঁকে দেন। একা কোন দেশকিছুই করতে পারে না। এজন্য বিশে^ এখন ওএঙ, ওঘএঙ, ঘএঙ- এরপ্রয়োজনীয়তা ব্যাপক পরিলক্ষিত হচ্ছে।

জননেত্রী শেখ হাসিনা ’৭৫পরবর্তী সময়গুলোতে অপরাধ না করেও একদেশ থেকে আরেক দেশে আশ্রয়খুঁজে বেড়িয়েছেন। আমাদের কাউকেই এটা করতে হয় নাই বা হচ্ছে না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক ভালবাসেন তা তাঁরপরিকল্পনা নীতিগুলো দেখলেই বোঝা যায়। তাছাড়াও বর্তমানে বিশ^রাজনীতিতে তিনি একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব।জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ হাতে ভারত ও মায়ানমারের সাথে রক্তপাতছাড়াই আমাদের স্থল সীমার চেয়ে কয়েকগুণ বড় জলসীমা আদায় করেছেন।পরিবারের সবাইকে হারিয়েও তিনি জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে দৃঢ়তারসাথে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের এই উপ-মহাদেশে আন্তঃমহাদেশীয় সড়ক পথ নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশ একটি বৃহৎ প্রবেশ দ্বার। এইসড়ক পথগুলো মধ্য প্রাচ্য আফ্রিকা ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। সড়ক
পথে পরিবহন খরচ অনেক বেশি এখানে যানজট পরিবেশ দূষণ ছাড়াও অনেকসমস্যা আছে। আমাদের ভাবতে হবে, পরিকল্পনা সুদূরপ্রসারী করতে হবে।নদীর পানির প্রবাহের সঙ্গে পলির পরিমানের মধ্যে একটা সমানুপাতিকহার আছে। নদীর ব্যবস্থাপনা ও পানির ব্যবস্থাপনা দুই দিকেই সমান খেয়ালরাখতে হবে। গঙ্গার বিষয়টিতে শুধু মাত্র পানি বন্টন, পানির প্রবৃদ্ধিরপ্রস্তাব আনা এবং অন্যান্য নদীর পানি ব্যবস্থাপনা চুক্তিতে আনা হয়১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে। পানির সুষ্ঠ বন্টন হলে এই উপমহাদেশআপনা আপনি সমানভাবে সবুজ হবে। এর বিস্তর প্রভাব ইকোসিস্টেমেপড়বে যা প্রাকৃতিক।হিমালয়ের কৈলসা শৃঙ্গ হতে জন্ম নেয়া ব্রক্ষ¥পুত্র নদ তিনটি দেশ চীন (০১হাজার ৬০০ কিলোমিটার), ভারত (৯০০ কিলোমিটার)এবং বাংলাদেশ (শপাঁচেক কিলোমিটার) হয়ে প্রবাহিত হবে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। চীন০৫টি বড় বড় বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প পর্যায়ক্রমে শেষ করছে। বিশে^ ভূ-কম্পন সক্রিয় ভূখন্ডের উপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোর ১টি বক্ষ্মপুত্র। প্রায়২৫০ বছর আগেও ব্রক্ষ্মপুত্র প্রবাহিত হতো এক ধারায়। তীব্র ভূমি কম্পেরকারণে বড় শাশাটি বাংলাদেশের ঢোকার পর যমুনা নাম নিয়ে কিছু দূরচলার পর পদ্মায় মিলেছে আর ছোটটি পুরনো ব্রক্ষ্মপুত্র নামে মেঘনায়মিলেছে। চীন হতে প্রবেশের আগে ঐ পাঁচটি বাঁধ এর বিরোধীতা ভারতেরআসাম এবং বাংলাদেশের নদী সংলগ্ন অংশ মরুভূমি হবে।আন্তঃ এশিয় নৌপথ চালু করলে জাতিসংঘের ঝউএ পরিকল্পনা বাস্তবায়নেমাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে কার্যকরী, সচেতন ও সুচারু পদক্ষেপগ্রহণ করতে হবে। আমরা জানি সারা বিশে^ মালামাল পরিবহন কাজগুলোর৮০% সম্পন্ন হয় জলপথে। আর জলপথে পরিবহন খরচ অনেক কম। শীপ বিল্ডিংরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম বিশ^ ব্যাপী, দেশের জাতীয়অর্থনীতিতেও তা ভূমিকা রাখছে। দেশে মেরিটাইম বিশ^বিদ্যালয়প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এটা ভাল।ভৌগলিক ভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে এই উপমহাদেশের বেশির ভাগ নদীরউৎপত্তি স্থল হয় ভারত, না হয় চীন, না হয় নেপাল অথবা মায়ানমার।আন্তঃমহাদেশীয় সড়ক পথের পরিবর্তে আন্তঃ মহাদেশীয় জলপথ পরিকল্পনা চালুকরলে এই উপ-মহাদেশ এমনিতেই সবুজ হবে অর্থাৎ বসবাস উপযোগীহবে। জলপথেই যেহেতু বড় বড় কার্গো জাহাজগুলো চট্টগ্রাম, মুম্বাইসহঅন্যান্য বন্দরে পৌঁছাচ্ছে। এই বড় বড় কার্গো জাহাজগুলো যদি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে