ভাটিবাংলায় সূচিত হলো ১৫৭৮ সাল। নতুন বছরের শুরু থেকেই পরিস্থিতি ছিল থমথমে। মোগলরা সেনাবাহিনী পাঠাচ্ছে, এমন একটা সংবাদ শোনা যাচ্ছিল। কবছর ধরে ভাটিবাংলার মসনদ-ই-আলা ঈসা খানের সাথে মোগলদের দ্বন্দ্ব চলছে, কোনো নিষ্পত্তি হচ্ছে না। মোগলরা তাই এবার চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। ঈসা খানও বসে ছিলেন না। তাঁর নৌবাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছিল মেঘনা ও ব্রক্ষ্মপুত্র নদীতে। বর্ষার শুরুতে ভাটি অঞ্চল তার প্রকৃত চেহারা ফিরে পেল। বিস্তীর্ণ হাওর এলাকা পানিতে ভরে গেল, শুরু হলো স্থানীয়দের জলবন্দী জীবন। পরবর্তী চার মাস এভাবেই কাটবে তাদের। বাংলার সুবাদার মোগল সেনানায়ক খান জাহান অবস্থান করছিলেন ঝাড়খন্ড জেলার তান্ডা নগরে। বর্ষার শুরুর দিকে তিনি তাঁর বাহিনী নিয়ে নৌপথে ভাটিবাংলার দিকে রওনা হলেন। ভাওয়াল পরগনার চৌরা শহরে মোগল বাহিনী শিবির স্থাপন করে। এখান থেকে তিনি ঈসা খানের বিরুদ্ধে বাহিনী প্রেরণ করেন।