কৃষি বিপ্লবী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লব ও বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

0
66

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য আখলাকুর রহমান মাইনু বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষিতে বিপ্লব ঘটানোর জন্য দূরন্ত বিপ্লব বিপ্লবী হয়ে নেমেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে বের হওয়ার পর কৃষিতে বিপ্লবটা কেন শেষ করতে পারল না? সে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সৈনিক ছিল কিন্তু তাকে এত নির্মমভাবে কেন মারা হল?’

মানববন্ধনে হত্যাকাণ্ডের শিকার ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা বলেন, ‘আমার ছেলের মিসিং পয়েন্ট ছিল রামপুরা। তাকে সবশেষ সেখানে পাওয়া যায়। সেখান থেকে বুয়েট ক্যাম্পাস লাইনে তাকে খোঁজার কথা। সেই মিসিং পয়েন্ট থেকে তাকে খোঁজা হয়নি। কীভাবে সেখান থেকে সে চনপাড়া গেল, সে নিজে গেছে নাকি অন্য কেউ তাকে নিয়ে গেছে তা দেখতে হবে। এই ঘটনায় কোথাও একটা ফাঁকি আছে।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লব হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। কর্মসূচি থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ীদের বিচার দাবি করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে নোঙর বাংলাদেশ, স্বাধীনতা উদ্যান সাংস্কৃতিক জোট ও তাদের বন্ধুমহল এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।

মানববন্ধনে কথা বলতে গিয়ে আবারও কাঁদলেন হত্যাকাণ্ডের শিকার ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা।

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে মিসিং পয়েন্ট থেকে খোঁজা শুরু হয়নি। মিসিং পয়েন্ট ছিল রামপুরা। তাকে সবশেষ সেখানে পাওয়া যায়। সেখান থেকে বুয়েট ক্যাম্পাস লাইনে তাকে খোঁজার কথা। সেই মিসিং পয়েন্ট থেকে তাকে খোঁজা হয়নি। কীভাবে সেখান থেকে সে চনপাড়া গেল, সে নিজে গেছে নাকি অন্য কেউ তাকে নিয়ে গেছে, তা দেখতে হবে। এই ঘটনায় কোথাও একটা ফাঁকি আছে।’

ফারদিনের বাবা বলেন, ‘এই দেশে মেধাবী নিধন শুরু হয়েছে। বুয়েট কিলিং মিশন শুরু হয়েছে। আমার সন্তান ধূমপানও করে না। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে বিচার বিলম্বিত করার জন্য তাকে মাদকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।

‘আমার সন্তান আর কখনও ফিরে আসবে না। মৃত ব্যক্তির প্রতি অন্যায় করা হয়েছে, ফারদিনের কাছে ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ নেই। আর যেন কাউকে এমনভাবে তুলে ধরা না হয়।’

নোঙর বাংলাদেশের সভাপতি ও স্বাধীনতা উদ্যান সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক সুমন শামস বলেন, ‘ফারদিন ও দুরন্ত বিপ্লব দুজনই মেধাবী ছিল। দেশকে অনেক কিছু দিতে পারত। ফারদিন ডিবেট করত। ডিবেটে অংশ নেওয়ার জন্য স্পেনে যাওয়ার আগে তাকে হত্যা করা হয়। দুরন্ত কৃষি নিয়ে কাজ করত। তাদের হত্যার যেন সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার করা হয়। মাদকের কারবারিরা প্রশাসনের সামনে ঘুরে বেড়ায় তখন কিছু বলা হয় না। কোনো ঘটনা ঘটলে তারপর দেখা হয়।’

মানববন্ধনে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দূরন্ত বিপ্লবের খালাতো ভাই মোহাইমেন বয়ান বলেন, ‘বিপ্লব আমার ছোটবেলার খেলার সাথী। আমরা স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন ও জঙ্গিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছি। তার এই অস্বাভাবিক চলে যাওয়া সহজে মেনে নেয়া যায় না। এই দুই হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত না করে সুষ্ঠু বিচার ও সঠিক তদন্তের মধ্য দিয়ে হত্যার অপরাজনীতির অবসান চাই।’

ফারদিন ও দুরন্তের হত্যাকারীদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করে মানববন্ধনে নোঙর বাংলাদেশের সভাপতি সুমন শামস বলেন, ‘তারা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন। ফারদিন ডিবেট করতেন। ডিবেটে অংশ নেয়ার জন্য স্পেনে যাওয়ার আগে তাকে হত্যা করা হয়। আর দুরন্ত কাজ করতেন কৃষি নিয়ে। তাদের হত্যার যেন সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার করা হয়।’

সুমন শামসের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মেহেদী জামিল।

সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব জহিরুজ্জামান, ধ্রুব রহিম, চিত্রশিল্পী মোঃ মাহবুবুর রশীদ, কথা সাহিত্যিক মনির জামান, কবি নজরুল ভক্ত সমাজের আহবায়ক আবির বাঙালী, কবি সমর চক্রবর্তী, কবি রাসেল আশেকী, লালন চর্চা কেন্দ্রের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, উজ্জল দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোকনুজামান তোহা, সায়েদা আইনুন নাহার রত্না, শিল্পী অভিলাষ দাস, নোঙর বাংলাদেশ এর সন্মানিত সদস্য ফজলে সানি, এফ এইচ সবুজ, আমিনুল হক, বাহারুল ইসলাম টীটু, মোঃ শাহজাহান, আল-আমিন শরীফ, বাপ্পী খান, কাজী আমির, সৈয়দ মনিরুল কবীর, আমিনুল ইসলাম, এ ফ সি বাধন, মোঃ রাজু আহমেদ, শুভ ঘোষ, ইমরান হাসান, কনক রাওশান, আহসান হাবীব, আপন হালিম, মোঃ সিদ্দুকুর রহমান, ওমর ফারুক, নাবিল চৌধুরী, মাসরুফা সায়মা, ফকির রবি চাঁদ, আব্দুর রহিম, শৈবাল, মনির রহমান, খন্দকার সালাহউদ্দিন আহমেদ, মহিউদ্দিন শামীম, হামজা রহমান, ইমান আহমেদ, মোয়াজ্জেম হোসেন মোঃ সফিকুল ইসলাম,  জাহিদুল হক জুয়েল, তালেবুল মাওলা, আঃ বারেক মাদবর, সিরাজুর মনীর টিপু, যোবায়েদ সুমন প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে