ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাটারিচালিত রিকশার হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দে পৌর কর্তৃপক্ষের অভিযান

0
18

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশার হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দে পৌর কর্তৃপক্ষের অভিযান। মঙ্গলবার ২১ জুন বিকাল ৫টা থেকে হাইড্রলিক হর্ণ জব্দ অভিযান শুরু করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদদূস। ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশায় থাকা হাইড্রোলিক হর্ণের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এবার এগিয়ে এসেছে তা নিরসনে। শব্দ দূষণে শহরে শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। মানুষের উচ্চ শব্দ গ্রহণের মাত্রা ৫০ থেকে ৬০ ডেসিবল ক্ষমতা থাকলেও শহরে অতিরিক্ত ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশার ব্যবহৃত হাইড্রোলিক হর্ণের শব্দের মাত্রা ১২০ থেকে ১৫০ ডেসিবল যা মানুষের শ্রবণশক্তি বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দে পৌর কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা শহরের বিভিন্ন মহল থেকে অভিবাদন জানিয়েছে এবং এ অভিযান পর্যায়ক্রমে অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানিয়েছেন।

বিষয়টি নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক সংগঠন নোঙর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে। এবার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসায় সংগঠনের সভাপতি শামীম আহমেদ পৌর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ২০১৯ সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন (বিপিএম) পিপিএম সাহেবকে হাইড্রোলিক হর্ণের বিষয়টি অবগত করলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তা জব্দের নির্দেশ দেন যা শহরের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। তবে কার্যক্রমটি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত না রাখায় হাইড্রোলিক হর্ণের মাত্রা বেড়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদদূস বলেন, হাইড্রোলিক হর্ণ সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। হাই্ডরোলিক হর্ণের বিকট শব্দে শব্দ দূষণ বেড়ে যায়। যার ফলে শিশু, বৃদ্ধসহ সকলেই শব্দ দূষণের শ্বীকার হচ্ছে এবং শ্রবণ শক্তি লোপ পাচ্ছে। এ কার্যক্রমটি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নোঙর অর্থ ও আইসিটি সম্পাদক শিপন কর্মকার, নোঙর সদস্য সুশান্ত পাল, সোহেল আহাদ, মো: রয়েল ও মো: নাসিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুদ্দিন আহমেদ, উপসহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ইদ্রিস মিয়া অপুসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে