জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর এ চৌধুরী বলেছেন, সাঁতার জানার পরও রাজধানীর চারপাশে প্রবাহমান বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীতে কেউ পড়ে গেলে তিনি মারা যাবেন।
এসব নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে। তাই এই দুই নদীতে মার্চ ও এপ্রিলে যদি কেউ পড়ে মারা যান, তবে তিনি সাঁতার জানেন না, এজন্য মারা যাবেন না; পানির বিষাক্ততার জন্য মারা যাবেন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মনজুর এ চৌধুরী। নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, তিনটি শুশুক ভুলক্রমে তুরাগ নদীতে এসেছিল। সেগুলোকে পিটিয়ে মারা হয়নি। তারা বিষাক্ত পানিতে এসে মারা গেছে। ঢাকাবাসীর জন্য পানি (চারপাশের নদী) মরণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর পানির দূষণমুক্ত করতে কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মনজুর এ চৌধুরী বলেন, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চের আগে এই নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করা হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগামী জন্মদিনের আগে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এসব নদ-নদী দূষণমুক্ত করা হবে। অনেকে বলেছেন, এটা অসম্ভব ব্যাপার। এত বছরে কেউ পারেনি। আমি তাদের বলি, নয় মাসে দেশ স্বাধীন করা গেলে চারটি নদী দূষণমুক্ত করা যাবে না, এটা হতে পারে না।
তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশে দূষণের জন্য যদি কোনো একটা প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে দায়ী করতে হয়, তাহলে আমি দায়ী করব ঢাকা ওয়াসাকে। ঢাকায় যত মলমূত্র, এর ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ এই চারটি নদীতে যায়। এদের দায়িত্ব ছিল পয়োনিষ্কাশন লাইন করা। পয়োনিষ্কাশন লাইনের মাধ্যমে এসব যাওয়ার কথা ছিল ট্রিটমেন্ট প্লান্টে। কিন্তু তা সরাসরি গিয়ে পড়ছে নদীতে। খাল ও নালার দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি নেওয়ার পর নদীর পানি দূষণমুক্ত করতে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুই সিটির কঠোর সমালোচনা করেন মনজুর এ চৌধুরী।
চাঁদপুরে একজন 'বালুসন্ত্রাসী'কে উৎখাত করার পর প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বদলির ঘটনায় হতাশা ব্যক্ত করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান।
এইচআরপিবি সভাপতি মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছারোয়ার আহাদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) সুলতান আহমেদ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান ও ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা প্রমুখ।
স্বত্বাধিকারী নোঙর নিউজ | ও সম্পাদক - সুমন শামস
Developed by KetNey Pvt .Ltd. and UnivaHost