বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ধর্ষণ বলতে বোঝানো হয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহায়তাকারীদের দ্বারা সংঘটিত ধর্ষণ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী বাহিনীর সদস্যরা দুই থেকে চার লক্ষ বাঙালি নারীকে ধর্ষণ করে। এই ভিডিওতে বাংলাদেশী নারীদের নৃশংস হত্যা ও ধর্ষণ দেখানো হয়েছে।
স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা বাঙালি নারীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অস্ট্রেলীয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গণধর্ষণের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে এ মর্মে জেরা করেছিলেন যে, তারা কীভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ করতে পারল। অস্ট্রেলীয় চিকিৎসক বিচলিত হলেও পাক অফিসারদের সাচ্চা ধার্মিক হৃদয়ে এ কথায় কোনো রেখাপাত ঘটেনি। তাদের সোজা জবাব ছিল এ রকম, “আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিল যে, একজন ভালো মুসলমান কখনওই তার বাবার সঙ্গে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশি সম্ভব বাঙালি মেয়েকে গর্ভবতী করে যেতে হবে।’’
ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন: Horrific history of the forgotten Genocide in Bangladesh, 1971
এই ভিডিওতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশী নাগরিকদের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) নৃশংস ও জঘন্য গণহত্যায় প্রাণ, মর্যাদা ও জীবিকা হারানো সেই সকল মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে । এটি সেই বাঙ্গালীদের বেঁচে থাকার গল্পকে প্রতিনিধিত্ব করে যারা এই ধরনের বাধা-বিপত্তি পেড়িয়ে আজকের প্রগতিশীল বাংলাদেশ তৈরি করেছে।