


নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী লঞ্চে ধাক্কা দেওয়া এমভি রূপসী-৯ নামে জাহাজটি জব্দ করা হয়েছে। গজারিয়া কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার লুৎফর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া হোসেন্দী সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে জাহাজটি জব্দ করে গজারিয়া কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ।
এর আগে আজ দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম এল আশরাফ উদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সোয়া দুইটার দিকে বন্দরের আল আমিন নগরের বাংলা সিমেন্ট ঘাট এলাকায় এলে এমভি রূপসী ৯ নামের সিটি গ্রুপের একটি মালবাহী জাহাজ দ্রুত গতিতে অতিক্রম করার সময় যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।
এ সময় ১০-১৫ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও অনেকেই নিখোঁজ হন। লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর নদী থেকে দুই যাত্রীর লাশ উদ্ধার করে বন্দর ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের ডুবুরিরা।
এখনো পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় তাৎক্ষনিক নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন।
রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে চর সৈয়দপুরের আলামিন নগরের ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা প্রেক্ষিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে। ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বাকিদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ডুবে যাওয়া লঞ্চটি সনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া তাৎক্ষনিক নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।