রাজধানীর সকল খাল দখলমুক্ত করা হবে : তাজুল

    0
    15
    রাজধানীর সকল খাল দখলমুক্ত করা হবে : তাজুল

    রাজধানীতে অবৈধভাবে দখল হওয়া সকল খাল উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলার রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ কথা জানান।

    স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, উদ্ধারকৃত খালসমূহ সংস্কার করা হলে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি নগরবাসীকে একটি আধুনিক-দৃষ্টিনন্দন ও বাসযোগ্য নগর উপহার দেয়া সম্ভব হবে। যারা সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন, তারা স্বাভাবিক ভাবেই এখন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কিন্তু এতে একটি বার্তা চলে যাবে যে অবৈধভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করে রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র এখানকার খাল উদ্ধার হবে আর অন্যগুলো হবে না এমনটা ভাবা উচিত হবে না।

    ঢাকা শহরের যত জায়গা দখল করে যারা অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বা করার পাঁয়তারা করছেন তারা সতর্ক হবেন। কোনো ধরনের দখলবাজদেরই বরদাস্ত করা হবে না। জনগণের কল্যাণে যা যা করার দরকার তা করবে সরকার।

    তাজুল ইসলাম জানান, রাজধানীর সকল খালকেই একটির সাথে অন্যটির সংযোগ তৈরি করে তারপর ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে একাধিক সভা করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। ঢাকা শহরের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব দিলে খাল উদ্ধার করা সহজ হবে। কারণ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জনগণ থাকে। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করলে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব। সে উদ্দেশ্যেই রাজধানীর কিছু খাল ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দুই সিটি করপোরেশন জোরালো অভিযান চালিয়ে খাল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। যার ফলাফল এখন দৃশ্যমান।

    রাজধানীতে পরিকল্পিতভাবে ট্রাক ও বাস স্ট্যান্ড নির্মাণ করার কাজ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে যে পরিমাণ রাস্তার দরকার তা নির্মাণ করতে হবে। আবাসনের জায়গায় আবাসন হবে। সকলের জন্য কল্যাণকর ঢাকা গড়তে যা যা দরকার তার সবই করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

    তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহরে এখনও ৫৩ টি খালের অস্তিত্ব রয়েছে। এ সকল খাল উদ্ধার করে যদি নৌ চলাচল ও দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন করা যায়, তাহলে দেশের মানুষ ভেনিস ঘুরতে না গিয়ে ঢাকা শহরে আসবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে থাকা খালগুলো হস্তান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন থাকা খালসমূহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

    মন্ত্রী জানান, পৃথিবীর অনেক সিটি কর্পোরেশন নিজেদের অর্থায়নে এয়ারপোর্ট, সাবওয়ে, ট্যানেল এবং মেট্রোরেল করেছে। আমাদের সিটি কর্পোরেশনগুলো আগের তুলনায় অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমি বিশ্বাস করি,  অচিরেই দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন আত্মনির্ভরশীল হবে।

    পরিদর্শনকালে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট অন্যেরা উপস্থিত ছিলেন। বাসস

    একটি উত্তর ত্যাগ

    আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
    এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে