


নারায়ণগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌকাডুবির ঘটনায় ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটির পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, লঞ্চটির নাম এমভি ফারহান-৬।
আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘লঞ্চের এক যাত্রী ফোন করে জানিয়েছেন, নৌকাটিকে ধাক্কা দেওয়া লঞ্চের নাম এমভি ফারহান-৬। বরিশালের ভোলা থেকে লঞ্চটি ঢাকায় যাচ্ছিল। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’
সাঁতরে তীরে ওঠা দ্বীন ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘৫০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি বক্তাবলী ঘাট থেকে ধর্মগঞ্জ ঘাটে যাচ্ছিল। কুয়াশার কারণে নৌকাটি দিক হারিয়ে ফেলে এবং ১০-১৫ মিনিট ঘুরেও কোনো তীরে যেতে পারেনি। সেসময় একটি লঞ্চ ধাক্কা দিলে নৌকাটি ডুবে যায়। তখন যাত্রীদের চিৎকারে লঞ্চ থেকে লাইফ বয়া ফেলা হয়। পরে ঘাটে থাকা অন্য একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা এসে অনেককে উদ্ধার করে। এরমধ্যে ১ নারী ও ২ যুবককে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
নিখোঁজ জেসমিন আক্তারের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জেসমিন আক্তার, তামীম, তাফসিয়া ও তাসমিম একই পরিবারের সদস্য। তামীম জেসমিন আক্তারের ছেলে এবং তাফসিয়া ও তাসমিম তার ২ মেয়ে।’
নিখোঁজ সাব্বিরের মা শাহনাজ বেগম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমার ছেলে নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। কলেজের প্রি-টেস্ট পরীক্ষার বেতন ও ফি দেওয়ার জন্য সে কলেজে যাচ্ছিল। ওর সঙ্গে থাকা ১ বন্ধু সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছে। কিন্তু আমার ছেলে উঠতে পারেনি।’
তবে, নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের এসপি মিনা মাহমুদ ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘লঞ্চের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’