ইলিশ মৌসুম চললেও বৈরি আবহাওয়ার কারনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েও বরগুনার জেলেরা সাগরে যেতে পারছেন না। আবহাওয়া ভালো হলে তাদের জালে রূপালি ইলিশ পাওয়ার আশা করছেন জেলে, মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা।
নদীবেষ্টিত এই জেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর অধিকাংশ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস মাছ ধরা। এ জেলার তিনটি প্রধান নদ-নদী বিশখালী, বলেশ্বর ও পায়রাকে ঘিরে হাজার হাজার প্রান্তিক জেলের বসবাস। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের মোহনায়ও ছোট নৌকা নিয়ে ইলিশ ধরেন কয়েক হাজার জেলে। এখানে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে শেষ হয়েছে।
মৎস্য বিভাগ ও জেলেরা জানান, এখন জাল ফেলার মৌসুম। ১৪ অক্টোবর থেকে এরপর আবার প্রজনন মৌসুমের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। এরই মধ্যে ইলিশ পেতে হবে জেলেদের জালে। জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, বরগুনা জেলায় প্রায় ৪৩ হাজার জেলে রয়েছেন যাদের জীবিকার একমাত্র উৎস্য সাগর-নদীতে মাছ ধরা।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানিয়েঝেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাওয়ার জন্য বাজার ভর্তি ধরা ট্রলার ঘাটেই বসে রয়েছে। বেরি আবহাওয়ার অবসরে বরফসহ বাজার রসদ সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে; অবস্থায় জেলেরা অসহায় সময় পার করছেন।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, মৌসুমে সাগর থেকে ইলিশ নদ-নদীতে বিচরণ করতে আসে। এ সময় প্রায় সবখানেই এসব ইলিশ ধরা পড়ে। আমরা আশা করি, খুব তাড়াতাড়িই সাগর, নদীতে ইলিশ ধরা পড়া শুরু হবে।