আদি বুড়িগঙ্গা নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান চলছে

0
128

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বুড়িগঙ্গা প্রতিনিধি: বুধবার (১৬ জুন) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের লোহারপুল এলাকা থেকে ব্যাটারি ঘাট পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চার তলা ভবনসহ বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় আদি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা টিনশেড বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল তীরে ৭৪টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা অনুসারে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছে বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটের কিছুটা পশ্চিমে চাঁদনীঘাট এলাকায় দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গার উত্তর দিকের শাখাটি আদি চ্যানেল হিসেবে পরিচিত আর দক্ষিণের শাখাটি এখনকার মূল বুড়িগঙ্গা।

বুড়িগঙ্গার এই দুই ধারার মাঝখানে কামরাঙ্গীরচর, নবাবগঞ্জ চরসহ কয়েকটি এলাকার অবস্থান। কামরাঙ্গীরচর অংশের অল্প কিছু দূর ছাড়া এই চ্যানেলের পুরোটাই এখন ভরাট হয়ে গেছে। সেখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বাড়ি-ঘর, বহুতল দালান ইত্যাদি অথচ দুই দশক আগেও এই চ্যানেলটি হাজারীবাগ, রায়েরবাজার ও মোহাম্মদপুরের পাশ দিয়ে আবারও বুড়িগঙ্গার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল।

১৮ মার্চ ঢাকার হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বুড়িগঙ্গা ‘আদি চ্যানেল’ নদীর জায়গায় সিএস বা আরএস জরিপ অনুসারে চিহ্নিত ৭৪ স্থাপনা, মাটি ভরাট এবং দখল তিন মাসের মধ্যে উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকার জেলা প্রশাসক ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের প্রতি ওই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উচ্ছেদ কাজে সহযোগিতা করতে পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতের এই নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ৭৪টি স্থাপনার মধ্যে টিনশেড বাড়ি, চারতলা ভবন, একতলা ভবন, জায়গা দখল করে মাটি ভরাট, মসজিদের আংশিক স্থাপনাসহ ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়ি, হাসপাতাল, কারখানা ও সুপারমার্কেট রয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিএ’র সূত্রে জানায়।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী নোঙর নিউজ’কে বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলটি মূলত ঢাকা জেলা প্রশাসনের অংশ। তাই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ক্ষেত্রে বিআইডব্লিউটিএ তাদের সহযোগিতা করেছে।

মূলত চ্যানেলটির বেশিরভাগ স্থানের পানিশূন্য হয়ে ভরাট হয়ে গেছে। উচ্ছেদ কাজে অনেক সমস্যা হচ্ছে। পানি না থাকার কারণে ভেকু নিয়ে উচ্ছেদ স্থলে যাওয়া যায় না।’ তাই স্থলপথে তীরে স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে বলে জানান তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে