প্রবাহমান খাল ভরাট করে আশ্রয়ন প্রকল্প!

0
19
কুমিল্লার দেবিদ্বারের ভানী এলাকার একটি প্রবাহমান খাল ভরাট করে আশ্রয়ন প্রকল্প করার কাজ চলছে।

কুমিল্লার দেবিদ্বারের ভানী এলাকার একটি প্রবাহমান খাল ভরাট করে আশ্রয়ন প্রকল্প করার কাজ চলছে।

ওই খাল ভরাটের ফলে বন্যা ও জলাবদ্ধতাসহ ফসলের জমি ক্ষতির আশংকা করছেন স্থানীয় এলাকার ২০ গ্রামের কৃষক ও বাসিন্দারা।

সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেবিদ্বারের ভানী এলাকায় ৪০ জন ভূমিহীনের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প করতে পাশের জমির সাথে ওই খালটি ভরাট করায় ভানী, আছাদ নগর, খিরাইকান্দি, বখরিকান্দি, আন্দিরপাড়, মধ্যনগর, তেবারিয়াসহ প্রায় ২০ গ্রামের বাসিন্দা ও কৃষকেরা দুর্ভোগে পড়বেন।

তবে এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, গৃহহীন ও ভ‚মিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে যাতে কোন সাধারণ মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সেদিকে আমরা সবসময় খেয়াল রাখছি এবং ভানীর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

দ্রুত খাল উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভূক্তভোগীরা। তারা জানান, ওই এলাকার একাধিক স্থানে আরও খাস জমি থাকলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান খাল ভরাট করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এটি বাস্তবায়ন হলে কৃষি জমিতে পানির সেচ এবং বর্ষার পানি নিষ্কাশনসহ পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতায় ফসলি জমি নষ্টসহ বন্যার সৃষ্টি হবে। সেখানে ভেকু দিয়ে ৮/৯ ফুট গভীর করে উক্ত প্রকল্পের জন্য মাটি কাটার কাজ চলছে।

বৃদ্ধ কৃষক রফিক উদ্দিন জানান, পানি সেচ ও নিষ্কাশনের একমাত্র ভরসা এই ভানী খাল। এটি ভরাট করায় পানির চলাচল বন্ধ হয়ে ফসলী জমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম নামে আরও এক বাসিন্দা বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাটি ভরাটের জন্য মাটি ও বালু উত্তোলনে তাদের পুকুরে ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা শুরু করলে পুকুরের চার পাশে থাকা ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

খাল ভরাটের বিষয়ে ভানী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান জানান, ভরাটকৃত অংশ সরকারি খাস জমি। খাল পূর্বেই দখল করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে খালের দখলকৃত অংশ উচ্ছেদ করবে প্রশাসন, যাতে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে