সামরিক অভ্যুত্থানের চার মাস পরেও বিক্ষোভ চলছে মিয়ানমারে

0
13

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের চার মাস পার হয়ে গেলেও দেশটিতে থামছে না জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ।

মঙ্গলবারও দেশটির বিভিন্ন স্থানে রাজপথে নামে সু চি সমর্থক আন্দোলনকারীরা। সীমান্তে জান্তাবিরোধী মিলিশিয়াদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের মধ্যেই এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে সরকারি বাহিনী। হত্যা করা হয় বহু বিক্ষোভকারীকে। আহত হয় আরও অনেকে। চালানো হয় ব্যাপক ধরপাকড়। আন্দোলনকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংস তাণ্ডবের পরও এখনও সামগ্রিক পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলে লাউং লোন শহরে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে আন্দোলনকারীরা।

আরেক সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ-এর ছবিতে ইয়াঙ্গুগুনের কামায়ুত জেলায় তরুণদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। সেখানে একজন প্রতিবাদকারীর হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আন্দোলন নিঃশেষ হয়ে যায়নি।’Report says Myanmar internet a 'virtual battlefield' - The Mainichiএদিকে অভ্যুত্থানের পর থেকেই সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে জাতিগত সংখ্যালঘুদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কয়েক দশকের পুরনো সংঘাতও মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে। সু চির দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত বেসামরিক সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে এসব জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মিলিশিয়ারা। সেনাবাহিনীর ওপর হামলা জোরদার করছে তারা। এ মাসের গোড়ার দিকেই সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি দখল করে দেয় কারেন বিদ্রোহীরা। সেনাবাহিনীও বিমান হামলা চালিয়ে পাল্টা উত্তর দিচ্ছে। এই সংঘাতের ফলে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

আন্দোলনকারীদের একটি গ্রুপ জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত শুধু ৮৪০ বিক্ষোভকারীকেই হত্যা করেছে সরকারি বাহিনী। তবে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং-এর দাবি, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৩শ’র কাছাকাছি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে