শিকারির আটকানো হাজারো পাখি মুক্ত করলেন সৈকত খান

0
23

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর পদ্মার চরে খাবারের খোঁজে আশ্রয় নেয়া কয়েক হাজার দেশি-বিদেশি পাখিকে ফাঁদে আটকিয়েছিল একদল শিকারি। খাঁচায় ভরে পাখিগুলো বিক্রিই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।

তবে বিষয়টি টের পেয়ে আটক পাখিগুলোকে আবারও আকাশে মুক্ত করে দিয়েছেন সৈকত খান নামে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা। এতে শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেয়েছে পাখিগুলো।

সোমবার (২৪ মে) দুপুরে উপজেলার রাঢ়িখাল ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ভূমিহীন চরে এ ঘটনা ঘটে। সৈকত খান রাঢ়িখাল ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে গোসল ও নৌ-ভ্রমণের জন্য এলাকার ছোট ভাইদের নিয়ে গ্রামের পাশের নদীতে যাই। এ সময় নদীর মাঝে জেগে ওঠা ভূমিহীন চরে বহু পাখির চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাই। কৌতূহল জাগলে আমরা চরে নামতেই তিনজন লোক দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এতে সন্দেহ হলে খোঁজাখুঁজি করে একটি খড়কুটোর ঘরে মশারির ভেতর আটকানো অবস্থায় দেশি, বিদেশে নানা জাতের হাজার হাজার পাখি দেখতে পাই।

এই যুবলীগ নেতা বলেন, সেখানে মুনিয়াসহ নানা জাতের পাখি ছিল। সাথে সাথেই মশারি তুলে পাখিগুলোকে আকাশে মুক্ত করে দেই। পাখিগুলো উড়ে যেতে দেখে আমাদের সবারই ভালো লাগছিল।

jagonews24

সৈকত আরও বলেন, চরে ধানের জমিতে খাবারের খোঁজে প্রতিবছরই অসংখ্য পাখি আসে। এই সুযোগে পাখিগুলোকে শিকারিরা আটকিয়ে ছিল। পাখিগুলোর আকৃতি ছোট। খড়ের ঘরে কয়েকটি খাঁচাও পেয়েছি। হয়তো এখান থেকে ধরে নিয়ে শিকারিরা ঢাকায় বিক্রি করতো। যারাই কাজটি করে তারা অমানবিক ও রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করেছে। যদি ১ হাজার জোড়াও পাখি থাকে তাহলে ৩০০ টাকা করে হলেও ৩ লাখ টাকা। অবৈধ আয়ের জন্য এসব বন্যপাখি শিকারিরা ধরেছিল হয়তো।

jagonews24

এ প্রসঙ্গে শ্রীনগর প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম নিতুল বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। পাখিগুলো ছেড়ে দিয়ে তারা খুবই ভালো একটি কাজ করেছে। চরটিতে যেহেতু প্রতিবছর অনেক পাখির আগমন ঘটে প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের উচিত সেখানে পাখি শিকার বন্ধ ও শিকারিদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে