চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬হাজার ১শ’৬০ হেক্টর বেশি জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলা হচ্ছে-যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ৩লাখ ৫৩হাজার ৭শ’৮০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩লাখ ৬৯হাজার ৯শ’৪০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এসব ইরি-বোরোর জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬লাখ মেট্রিক টন চাল।গত বছর ধান ও চালের দাম বেশি থাকায় কৃষকরা আগ্রহ সহকারে বেশি জমিতে ধান চাষ করেছেন বলে কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা জানিয়েছেন। বর্তমানে কৃষকরা জমিতে লাগানো ধানের পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।গতবছর ধান ও চালের দাম ভালো পাওয়ায় অনেক প্রান্তিক ও বর্গাচাষি এবছর ইরি-বোরো চাষে ঝুঁকেছেন বলে আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,যশোর সদর উপজেলার, বাঘারপাড়া উপজেলার, ঝিকরগাছা উপজেলার, চৌগাছা উপজেলার, শার্শা উপজেলার এবং মাগুরা সদর উপজেলার মাঠের পর মাঠ জুড়ে ইরি-বোরো জমিতে সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং ধানের চারা পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান,কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ইরি-বোরো ধান চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ,পরামর্শ,উঠান বৈঠক, নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক বোরো চাষ সম্পন্নের লক্ষ্যে সহজশর্তে কৃষকদের লোন প্রদান করেছে। বাজারে বর্তমানে ধান ও চালের দাম বৃদ্ধি থাকায় এ অঞ্চলের জেলাগুলোতে ইরি-বোরোর চাষ দিন দিন বাড়ছে বলে তিনি জানান।
স্বত্বাধিকারী নোঙর নিউজ | ও সম্পাদক - সুমন শামস
Developed by KetNey Pvt .Ltd. and UnivaHost