কৃষি উন্নয়নে শিক্ষিত মেধাবীদের কৃষিকাজে সম্পৃক্ততা প্রয়োজন : কৃষিমন্ত্রী

0
26

দেশের কৃষির অধিকতর উন্নয়নে শিক্ষিত মেধাবীদের কৃষি কাজে সম্পৃক্ততা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, কৃষি কাজে শিক্ষিত মেধাবীরা সম্পৃক্ত হলে কৃষিতে বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন বাড়বে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

চ্যানেল আই এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আয়োজিত এ আ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এছাড়া, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় এবং চ্যানেল আই’র পরিচালক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ প্রমুখ।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে কৃষিতে যে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে তাতে সবচেয়ে বেশি অবদান কৃষকদের। কৃষকরা সামনে সারির যোদ্ধা। তাদের মাধ্যমেই কৃষির উন্নয়ন ও উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, এ ধরনের পুরস্কার প্রদানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকে ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ কৃষক, চাষি ও উদ্যোক্তারা কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার খাতের কেন্দ্রে রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির উন্নয়ন। কৃষি বান্ধব বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপ, বিজ্ঞানী ও কৃষকদের অবদানে কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এরপরও, কৃষিতে যে সম্ভাবনা রয়েছে তার পুরোপুরি ব্যবহার ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।

কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য এ বছর ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ প্রদান করা হয়। ষষ্ঠবারের মতো দেয়া হলো এই কৃষি পুরস্কার। এ বছর দুটি নতুন ক্যাটাগরিসহ মোট নয়টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়া হয়।

আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন পথিকৃৎ কৃষি বিজ্ঞানী ‘কাজী পেয়ারার’ জনক ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা। এছাড়া, বছরের সেরা পুরুষ কৃষকের পুরস্কার পেয়েছেন মাল্টা চাষি সাখাওয়াৎ হোসেন, বছরের সেরা নারী কৃষক ফরিদপুরের পেঁয়াজ বীজ চাষি শাহিদা বেগম, পরিবর্তনের নায়ক এরশাদ মাহমুদ, জুরি স্পেশাল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান ও চট্টগ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা কোহিনুর কামাল, সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান (গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি) জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং, সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান (সহযোগিতা ও বাস্তবায়ন) আরবান, সেরা কৃষি সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম হিরু ও দুর্যোগ প্রতিরোধে সেরা কমিউনিটি ‘ লিডার্স’।

আয়োজকরা জানান, শতাধিক আবেদনের ভেতর থেকে বাছাই শেষে জুরি বোর্ড উল্লিখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করেছে। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সম্মাননা হিসাবে মোট ২৪ লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে