মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানির এক বছর

0
37

আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত বা আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গত বছরের ১১ নভেম্বর মামলা দায়ের করেছিল গাম্বিয়া।নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে গত বছরের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর

পর্যন্ত অনুষ্টিত হয় মামলাটির শুনানি। এখন মামলার শুনানির এক বছর হল। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে মিয়ানমারের প্রতি চারটি নির্দেশনা দিয়েছিল আইসিজে।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে ছিল, রাখাইনে থাকা অবশিষ্ট সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গাকে সুরক্ষা দিতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর লাগাম টেনে ধরতে ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি। আইসিজেতে মিয়ানমারের দায়ের করা মামলাটি নিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাশার কমতি নেই।

গাম্বিয়া বলছে, রোহিঙ্গা গণহত্যা বিচারের জন্য আইনি লড়াইয়ে আইনজীবীদের অর্থ প্রদানের জন্য জরুরি প্রয়োজন ৫০ লাখ ডলার। মামলা পরিচালনায় তহবিল সংগ্রহে নেমেছে ৫৭টি দেশের বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন(ওআইসি)ইতোমধ্যে সংগ্রহ হয়েছে ১২ লাখ মার্কিন ডলার।

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির কেন্দ্রীক রোহিঙ্গা সঙ্গঠনগুলো প্রত্যাশা করছে বিশ্ববাসী রোহিঙ্গাদের ন্যায় বিচারের জন্য তহবিল গঠনে সহায়তা করবে এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হবে। করোনার কারণে কিছুটা থমকে গেছে রোহিঙ্গা গণহত্যা বিচারের জন্য আইনি প্রক্রিয়া। তবে থেমে নেই মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়া।

বুধবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের মহামারিকালে যুদ্ধ বিরতি ও সমবেদনার আহ্বান সত্ত্বেও সহিংসতা ও নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে এবং লোকজনকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে ২০২০ সালে অনেক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।এখন শরণার্থীর সংখ্যা ৮ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।শরণার্থী সংস্থা প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা বর্তমানে

আরো একটি ভয়ংকর মাইল ফলক পাড়ি দিচ্ছি। বিশ্ব নেতারা যুদ্ধ না থামালে এ সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

ভয়েস অফ আমেরিকা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে