নদী-জলাশয়ে পানি বৃদ্ধি তলিয়ে যাচ্ছে ফসল

0
247
মেলান্দহে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধান।

জামালপুরের মেলান্দহে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক শ হেক্টর জমির ফসল। জানা গেছে, শ্যামপুর ইউনিয়নের ১০-১২টি গ্রামের ছয়-সাতটি নিম্নাঞ্চলের বোরো ধান পানির নিচে নষ্ট হচ্ছে। শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাতুজ্জামান সুরুজ মিলিটারি জানান, ছয়-সাতটি জলাশয় মেলান্দহ-ইসলামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। প্রশাসনিকভাবে পানি প্রবাহের উদ্যোগ নিতে হবে। ইউএনও হামিম আল ইয়ামীন জানান, কৃষকের সমস্যার দ্রুত সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, সরকারি প্রণোদনা ছাড়াও আনুষঙ্গিক সহায়তা দিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করা হচ্ছে।

চাটমোহর (পাবনা) সংবাদদাতা জানান, গুমানী নদীর জোয়ার ও বৃষ্টির পানির জন্য চাটমোহরে বোরো ধান নিয়ে শঙ্কায় কৃষক। এতে উপজেলার খলিশাগাড়ী বিল, আফরার বিলসহ নলডাঙ্গা, ছাইকোলা, হাণ্ডিয়াল, বোঁথরসহ বিভিন্ন এলাকার বিলের ধান তলিয়ে গেছে।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, হঠাত্ জোয়ারের পানি বেড়ে গিয়ে বিলে পানি ঢুকেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান জানান, ফসলের ক্ষতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিনু সরকারের জোলার স্লুইস গেটটি বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে।

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, উলিপুরে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্রায় ৩৫ হেক্টর জমির বাদাম খেত তলিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের জেগে ওঠা চরাঞ্চলগুলোতে চলতি মৌসুমে প্রায় ৪১১ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষাবাদ করেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। সরকারিভাবে কোনো প্রণোদনা এলে ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদের দেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে