বরগুনার বেতাগী থেকে রাজধানীমুখী কোনো লঞ্চে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। ঈদে রাজধানীতে ফেরার মতো যাত্রীর রবিবার ও সোমবার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে একপর্যায়ে ১ জুন সন্ধ্যায় বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজীব আহসান লঞ্চ স্টেশনে গিয়ে লঞ্চ পল্টনু ভিড়তে দেয়নি। দুপুরের পর থেকে বেতাগী লঞ্চ ঘাটে অসংখ্য যাত্রী ভিড় জমায়, তাতে ছিলনা কোন স্বাস্থ্য বিধির বালাই। নিয়মিত দুটি লঞ্চ চলার কথা থাকলেও বরগুনা থেকে ছেড়ে এসেছে মাত্র একটি লঞ্চ। তাতে লঞ্চের ডেক থেকে শুরু করে ছাদ পর্যন্ত বোঝাই ছিল ঢাকামুখী মানুষ।
গণমাধ্যম কর্মীদের দেয়া তথ্য ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে খবর পেয়ে বেতাগীর ইউএনও মো. রাজীব আহসান লঞ্চ বেতাগী স্টেশনে ভিড়তে দেয়নি।
এতে স্বাস্থ্য বিধি না মানা প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী ফিরে যায়। পরে ইউএনও পরবর্তী স্টেশন বাকের গঞ্জের নিয়ামতি থেকে যাতে ফিরে যাওয়া যাত্রীরা ঐ লঞ্চে উঠতে নাপারে এজন্য তিনি বাকের গঞ্জকে অনুরোধ করেন। তাতে নিয়ামতি স্টেশনেও লঞ্চ ভিড়তে পারেনি বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বরগুনা পোর্ট অফিসার মামুনুর রশিদ জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে ৩৫০ যাত্রী নিয় তার উপস্থিতিতে লঞ্চ ছেড়ে দেয়। বেতাগী স্টেশনে পৌছার পূর্বে লঞ্চে তিলধারণের ঠাই ছিলনা এবং লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা কত জানতে চাইলে বক্তব্য নিতে হলে অফিসে আসেন বলে ফোন কেটে দেয়।
এ ব্যাপারে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজীব আহসান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা হবেনা বলে এ ব্যবস্থা নিয়েছি।