হংকংয়ের বিশেষ সুবিধা বন্ধ করলে উভয় সংকটে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র

0
259

চীনের পার্লামেন্টে ‘হংকং নিরাপত্তা আইন’ পাসের পর হংকংকে বিশেষ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তার জবাবে হংকং বলছে বিশেষ সুবিধা বন্ধ করলে উভয় সংকটে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র।

চীন যুক্তরাষ্ট্রকে হংকং নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিতর্ক থেকে দূরে থাকার কথা বলেছিল এবং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, হংকংকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কোনো বিষয় প্রত্যাহার করলে তা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে পিছিয়ে দিতে পারে।

বৃহস্পতিবার হংকং সরকার জানায়, যে কোন নিষেধাজ্ঞাই উভয় দিকের স্বার্থকে সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। হংকংয়ের স্বার্থের মতো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থও উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার হংকং সুরক্ষা আইনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। যা অনেক আইনজীবী, কূটনীতিক এবং বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করেছেন যে, এর ফলে এই শহরের স্বাধীনতা হ্রাস পেতে পারে।

শুক্রবার স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত পৃথক বিবৃতিতে হংকংয়ের নেতা কেরি লাম সব ধরণের মতভেদকে দূরে ঠেলে এক সঙ্গে মিলে মিশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এরআগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বলেছেন, হংকংয়ের এ পরিস্থিতিই বলছে যে, তারা আর চীনের কাছ থেকে উচ্চ মাত্রার স্বায়ত্তশাসন সুবিধা ভোগ করছে না। চীন হংকংকে নিজেদের মতোই বানাতে চাইছে এটি এখন স্পষ্ট।

বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্রদেশগুলো এক বিবৃতিতে বলেছে, বেইজিং সরাসরি আইনটি চাপিয়ে দিলে হংকংয়ের মানুষের স্বাধীনতা সীমিত হয়ে পড়বে, স্বায়ত্তশাসন থাকবে না, ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতিও ক্ষুন্ন হবে।

বৃহস্পতিবার স্বায়ত্তশাসিত নগর হংকংয়ে সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করার একটি বিলে অনুমোদন দিয়েছে চীনের পার্লামেন্ট। চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের দুই হাজার ৮৭৮ জন প্রতিনিধি স্ট্যান্ডিং কমিটির আনা খসড়া বিলের পক্ষে ভোট দেন। বিলটির বিপক্ষে একটি ভোট পড়ার পাশাপাশি ৬ জন প্রতিনিধি ভোটদানে বিরত ছিলেন।

চীন বলছে, গত বছর টানা কয়েকমাস ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সহিংসতা দেখা হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, বৈধ সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা, সন্ত্রাসবাদ ও বিদেশি হস্তক্ষেপ রুখতে এ নিরাপত্তা আইন জরুরি হয়ে পড়েছিল।

অন্যদিকে সমালোচকরা বলছেন, গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের কণ্ঠরোধ করতেই বেইজিং এখন এ ধরনের নিপীড়ণমূলক আইন চাপিয়ে দেয়ার পথ বেছে নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলের স্ক্রিনে ভোটের ফলাফল দেখানোর সময় এ নিরাপত্তা আইনের সমর্থকদের উল্লাস ও হর্ষধ্বনি শোনা গেছে।

হংকংয়ের ‘বেসিক ল’ অর্থাৎ, মিনি সংবিধানের আর্টিকেল ২৩ অনুযায়ী, চীন সরকারের বিরুদ্ধে কোনোরকম বিদ্রোহ প্রতিহত করতে এই জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর বিধান আছে। এনডিটিভি, আল জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে