করোনার চিকিৎসা সামগ্রী রফতানি করতে চায় বাংলাদেশ

0
288

করেনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতি এখন স্থবির। গার্মেন্টসহ বিভিন্ন স্বাভাবিক রফতানি পণ্যের সরবরাহ আদেশ বাতিল করা হয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে ওইসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও খাত। তবে এ অবস্থায় বিকল্প সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ শুরু করেছে সরকার ও বেসরকারি খাত। বিশ্বব্যপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী তৈরি করে রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু চিকিৎসা সামগ্রী তৈরি শুরু হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী বলছে আমরা বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করতে পারি। আমাদের কাছে এখন অনেক ইক্যুইপমেন্ট আছে। পিপিই কয়েক লাখ তৈরি হচ্ছে।’

পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে উদ্যোগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে আমরা এ বিষয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ বিষয়টি আজকে শুনলাম এবং এখন আমি মিশনগুলোকে বলবো তারা যেন এসব পণ্যের বাজার আছে কিনা খোঁজখবর করে।’ এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের কাছ থেকে ২৫টি মেডিক্যাল সামগ্রী কিনতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে দুই দেশের সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে আলোচনা চলছে। যেসব সামগ্রী যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছে তারমধ্যে অনেকগুলো বাংলাদেশ প্রস্তুত করে এবং ওই দেশের মানদণ্ড অনুযায়ী প্রস্তুত করা হলে যে দাম পড়বে সেটিতে যদি দুই দেশ সম্মত হয়, তবে পণ্য সরবরাহ করা হবে।

এসব সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (শ্রাউড, হাতমোজা, গগলস, জুতার কাভার, মাস্ক ইত্যাদি), ভেন্টিলেটর, এয়ার পিউরিফায়ার, রেসপিরেটেরিসহ অন্যান্য উপাদান। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘পণ্যগুলো বেসরকারি খাত তৈরি করে এবং তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। শুধু তাই না বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছি।’

বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘পণ্যগুলোর দ্রুত সরবরাহ চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য যে স্পেসিফিকেশন দরকার তা সরবরাহ করা হলে উৎপাদনকারীরা তাদের দামের বিষয়ে জানাতে পারবে।’

এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো করোনাভাইরাসের কারণে বিধ্বস্থ। সেখানেও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ইইউ এর মুখপাত্র বাংলা ট্রিবিউনকে এক ইমেইলে জানান, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যপী পিপিই, মেডিক্যাল সামগ্রীর চাহিদা বেড়ে গেছে। ওইসব সামগ্রী যোগান ও উৎপাদন কম হওয়ার মুখোমুখি আমরা।’

বিভিন্ন শিল্পের উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিবর্তন করে এই পণ্যগুলো উৎপাদন বাড়াতে হবে যেমন, যারা গাড়ি বানায় তারা এখন মেডিক্যাল সামগ্রী বানাচ্ছে।

একইভাবে বাংলাদেশসহ অন্য দেশের শিল্পগুলোকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে এবং এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইইউ বাজারে প্রবেশ করার জন্য ওই বাজারের নির্দিষ্ট মান অনুসরণ করতে হবে এবং মানদণ্ড কী সেটি এখন ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে