জাহাজেই কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ভ্রমণ

0
330
এই জাহাজে করে সমুদ্র, পাহাড় আর সূর্যাস্ত দৃশ্য উপভোগ করতে করতে ভ্রমণ করা যাবে।

প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন যেতে ভোররাতে উঠে তাড়াহুড়ায় আর টেকনাফ যেতে হবে না। এবার কক্সবাজার শহর থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাওয়া যাবে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামের জাহাজে করে।

এ জাহাজে মাত্র ৪-৫ ঘণ্টায় দ্বীপে পৌঁছানোর আশা করছেন এ রুট সম্পর্কে ওয়াকিবহালরা। তাদের মতে, আগে সড়কপথে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যেতেই যাত্রীদের তিন ঘণ্টা সময় ব্যয়ে জাহাজ ধরার ঝামেলা ছিল। কর্ণফুলীর যাত্রায় এ ভোগান্তি থেকে বাঁচাবে ভ্রমণ পিপাসুরা।

বৃহস্পতিবার ৫৮২ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতার এ জাহাজটি প্রথমবারের মতো সমুদ্রযাত্রার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করছে। বিকাল ৪টায় ‘সমুদ্র যাত্রা’র উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুস সামাদ। অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার থেকে জাহাজটি কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে নিয়মিত চলাচল শুরু করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ।

এবার জাহাজেই কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ভ্রমণ‘সমুদ্র যাত্রা’র উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। 

তিনি জানান, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টায় জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। আবার বিকালে কক্সবাজারের উদ্দেশে সেন্টমার্টিন ছেড়ে আসবে জাহাজটি। প্রায় ৫২ নটিক্যাল মাইল (৯৫ কিলোমিটার) সাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন সেন্টমার্টিন পৌঁছাতে জাহাজটির ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র মতে, কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়ারছরা (এয়ারপোর্ট রোড) বিআইডব্লিওটিএ ঘাট থেকে যাত্রা করবে জাহাজটি। জাহাজ থেকে সমুদ্র, পাহাড় আর সূর্যাস্ত দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।

জাহাজটিতে রয়েছে মোট ১৭টি লাক্সারি শ্রেণির কেবিন। তার মধ্যে ইকোনমিক শ্রেণির কেবিন (দ্বিতীয় শ্রেণি), এর ভাড়া ১২ হাজার টাকা ও লাক্সারি শ্রেণির (ভিআইপি) কেবিনের ভাড়া ১৫ হাজার টাকা। প্রতিটি কেবিন দুইজনের জন্য প্রযোজ্য। নৌযানটিতে ভিন্ন ক্যাটাগরির প্রায় ৫১০টি আসন ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে প্রশস্ত কনফারেন্স হল রুম, ডাইনিং স্পেস, সি ভিউ ব্যালকনি।

প্রায় ৫৫ মিটার দীর্ঘ ও ১১ মিটার প্রশস্তের জাহাজে মেইন প্রোপালেশন ইঞ্জিন হচ্ছে দুইটি। যার এক একটির ক্ষমতা প্রায় ৬০০ বিএইচপি করে। জাহাজটি ঘণ্টায় প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটে চলবে।

জাহাজের ইকোনমিক আসনের (দ্বিতীয় শ্রেণি চেয়ার) ভাড়া জনপ্রতি দুই হাজার টাকা। এছাড়া বিজনেস ক্লাস আসনের (প্রথম শ্রেণি চেয়ার) ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৫শ’ টাকা। তবে, এ খরচটি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটু বেশিই হয়ে যায় বলে মন্তব্য ট্যুরিজম সংশ্লিষ্টদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে