হঠাৎ কর্মবিরতিতে কর্ণফুলী ঘাটে পণ্য খালাস বন্ধ

0
768


শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (নোঙরনিউজ ডটকম): সরকার ঘোষিত বর্ধিত বেতন-ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে নৌপথে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন শুরু করছে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশ। ধর্মঘটের কারণে গতকাল শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর অধিকাংশ নৌঘাটে পণ্য উঠানামা বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, সরকার ঘোষিত বর্ধিত বেতন-ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে নৌপথে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন। তবে শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধের কারণে এ ধর্মঘট নিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্য দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। শ্রমিকদের একাংশ ধর্মঘটের পক্ষে হলেও অপর পক্ষ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে ধর্মঘটে এখনো তেমন প্রভাব পড়েনি।

লাইটার জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাদাত হোসেন বলেন, গত বছরের ৫ অক্টোবর শ্রমিকদের বর্ধিত মজুরির গেজেট ঘোষণা করে সরকার। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর নতুন বেতন ঘোষণা করা হয়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে সব মালিকের ওই হারে বেতন-ভাতা দেয়ার কথা ছিল। শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর কথা বলে তারা জাহাজের ভাড়াও বাড়িয়ে নিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সব জাহাজ মালিক এই বেতন-ভাতা দিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।

ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরেও অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্যবোঝাই-খালাস, পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। লাইটারেজ, কার্গো, বার্জ, অয়েল ট্যাঙ্কার, কোস্টার জাহাজ ও যাত্রীবাহী নৌযানের শ্রমিকরা এ কর্মবিরতি পালন করছে। ফলে বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা এবং দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নদী পথে চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে ধর্মঘটের বিরোধিতা করে লাইটার জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের আরেকাংশের সাধারণ সম্পাদক নবী আলম বলেন, দাবি কর্মবিরতির প্রভাব চলাচলে তেমন পড়ছে না।

আমরাই ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বর্ধিত বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি দিয়েছিলাম। তা না হলে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি করার কথা ছিল। কিন্তু দাবির মুখে গতরাতে জাহাজ মালিকরা এক সপ্তাহের মধ্যে বর্ধিত বেতন-ভাতা পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে