তিতাস নদীর বুকে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ২০১৯

0
733
১ সেপ্টেম্বর,২০১৯ রোববার বিকাল ৩:০০ঘটিকার সময় ভাদ্রের উত্তপ্ত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর বুকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে, লক্ষাধিক দর্শকের করতালি মুখরিত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা তিতাস নদীর শিমরাইলকান্দি শ্মশানঘাট-মেড্ডা কালাগাজীর মাজার পর্যন্ত তিতাসবক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সোমবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, (নোঙরনিউজ) : আল্লাহ বলিয়া খোল।। এরকম বিভিন্ন সারিগান গেয়ে যখন খেইও খেইও ধ্বনি তোলে চারপাশ মুখরিত করে তুলে তখন আসলে অভিভূত না হয়ে পারা যায় না। আসুন সবাই মিলে যাই তিতাস পাড়ে…. নৌকা বাইচ দেখতে।

গতকাল ১ সেপ্টেম্বর,২০১৯ রোববার বিকাল ৩:০০ঘটিকার সময় ভাদ্রের উত্তপ্ত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর বুকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে, লক্ষাধিক দর্শকের করতালি মুখরিত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা তিতাস নদীর শিমরাইলকান্দি শ্মশানঘাট-মেড্ডা কালাগাজীর মাজার পর্যন্ত তিতাসবক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আনন্দ আয়োজন, উৎসব ও খেলাধুলা সবকিছুতেই নদী ও নৌকার সরব আনাগোনা। হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংস্করণ বাংলাদেশের নৌকা বাইচ। এক সময় এ দেশে যোগাযোগ ছিল নদী কেন্দ্রিক আর বাহন ছিল নৌকা। এখানে নৌ শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে বিভিন্ন শিল্পকেন্দ্র। এসব শিল্পে যুগ যুগ ধরে তৈরি হয় দক্ষ ও অভিজ্ঞ কারিগর।

এভাবে একসময় বিভিন্ন নৌযানের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এর মাঝিমাল্লারা বাহারি রঙে-ঢংয়ে নিজে সেজে নৌকাকে সাঁজিয়ে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়।মূলত দুপুর ৩টায় শুরু হলেও দূরদূরান্ত থেকে আগত নৌকার রিহার্সাল তিতাসে চলে সেই সকাল থেকেই। তিতাস পাড়ের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা-এমনকি বউঝিরাও দুপুরের খাবার খেয়ে ছুটে চলে নদী অভিমুখে। সে এক অনন্য আয়োজন।ঢাক-ঢোল সহ বিভিন্ন বাধ্যযন্ত্রের পাশাপাশি আল্লায় বলিয়া নাও খোল রে
ভাই সক্কলি।

আল্লাহ বলিয়া খোল।। এরকম বিভিন্ন সারিগান গেয়ে যখন খেইও খেইও ধ্বনি তোলে চারপাশ মুখরিত করে তুলে তখন আসলে অভিভূত না হয়ে পারা যায় না। আসুন সবাই মিলে যাই তিতাস পাড়ে…. নৌকা বাইচ দেখতে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন তিতাস পাড়ের গর্বিত সন্তান-যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর’র গ্রেড-১ এর মহাপরিচালক (অব.) অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন। পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিমা লুৎফর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

উক্ত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানাধিকারী সরাইল উপজেলার ওসমান উল্লাহর দলকে ১৩ সেফটির একটি রেফ্রিজারেটর (ফ্রিজ) ও নগদ ২০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থানাধিকারী নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি’র দলকে ৪০ ইঞ্চি সনি এলইডি টিভি এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী নবীনগরের মোর্শেদুল ইসলাম লিটনের দলকে ২০ ইঞ্চি এলইডি টিভি প্রদান করা হয়। এছাড়া অংশগ্রহনকারী প্রত্যেক দলকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি ওভেন প্রদান করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে