শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, (নোঙরনিউজ) : এক লাখ তিন হাজার ছয়শ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন, ১৩ ফুট গভীর বরফভেদী জাহাজ সাগরে ভাসালো রাশিয়া।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেরুপ্রদেশে সামরিক দখল নেওয়া এর একটা অন্যতম লক্ষ্য। ২০১৬ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গের বাল্টিক শিপইয়ার্ড থেকে এটি পরীক্ষামূলক ভাবে রওনা দেয় উত্তর দিকে। রুশ সামরিক অস্ত্রভাণ্ডারকে আরও উন্নত করতে এই জাহাজ এনেছে রাশিয়া, দাবি বিশেষজ্ঞদের।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে তৈরি করা শুরু হয়েছিল জাহাজটির। ৫৮৬ ফুট লম্বা, ১০০ ফুট প্রশস্ত, প্রায় ১০ ফুট পুরু জাহাজটি ১৩ ফুট গভীর বরফ ভেদ করতে সক্ষম।
জাতীয় প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এটি অন্যতম অস্ত্রও বলা যায়। আর্কটিকা নামের এই জাহাজে দুটি পানি পরিশোধনকারী ব্যবস্থা রয়েছে। ৭০ টন পানি পরিশুদ্ধ করতে সক্ষম এটি। একবারে ৩৩ হাজার ৫৪০ লিটার পানি সরাতেও সক্ষম।
এই জাহাজটির প্লবতা ‘ভ্যারিয়েবল’, বাল্টিকের ওই কারখানায় ১০ হাজার টন ধাতব কাঠামো রয়েছে, যা এই সিরিজের পরবর্তী জাহাজ তৈরিতে কাজে লাগানো হবে।
আর্কটিকার ক্ষেত্রে দুটি আরআইটিএম ক্ষমতাসম্পন্ন নিউক্লিয়ার পাওয়ার রিয়্যাক্টর রয়েছে, এটি মস্কোর কাছে পডোলস্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২০১৬ সালের জুন মাসে। বসানো হয়েছে দুটি চুল্লিও।
[caption id="attachment_22721" align="alignnone" width="750"] ছবি: সংগৃহীত
[/caption]
আর্কটিকায় সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষমতাসম্পন্ন যমজ রিয়্যাক্টর বা পরমাণু চুল্লি রয়েছে। মেরুপ্রদেশে এর ফলে রুশ আধিপত্য আরও বেশি করে জাঁকিয়ে বসবে বলেই মনে করছেন, আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
এক লাখ তিন হাজার ছয়শ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই জাহাজটি নির্মাণে। ৪০ বছর আয়ু এই আর্কটিকার, ২০ শতাংশের কম ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ জ্বালানি প্রতি সাত বছর অন্তত ভরতে হবে এতে।
রুশ সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, এই সিরিজের দুটি বরফভেদী জাহাজ সাইবেরিয়া ও উরাল ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ও ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আনা হবে।
পরমাণুশক্তি চালিত বরফভেদী রুশ জাহাজের পাল্টা জাহাজ আনতে চলেছে আমেরিকাও। ২০২০ সালে নতুন একটি পরমানবিক ক্ষমতা সম্পন্ন বরফভেদী জাহাজ আনার কথা আমেরিকার। এ ছাড়াও ২০১৮ সালের শেষের দিকে চীন এমন একটি জাহাজ আনার কথা ঘোষণা করেছে।
স্বত্বাধিকারী নোঙর নিউজ | ও সম্পাদক - সুমন শামস
Developed by KetNey Pvt .Ltd. and UnivaHost