নদী রক্ষায় এগিয়ে আসুন, ধরিত্রীকে রক্ষা করুন: বৃক্ষমানব দীপক চন্দ্র

0
707

শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, নোঙরনিউজ) : পরিবেশ নিয়ে কাজ করতে করতে বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালে বৃক্ষমানব উপাধি দেয়া হয় ময়মনসিংহের বৃক্ষমানব দীপক চন্দ্র দাসকে।

প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য গণপ্রচারণার কাজ করে চলেছেন ময়মনসিংহের একজন দেশপ্রেমিক দীপক চন্দ্র দাস। তার সারা শরীরে লেখা ‘কার্বণ নি:স্বরণ কমান, ধরিত্রীকে রক্ষা করুন’।

নদী নিরাপত্তার মুখপত্র নোঙর নিউজকে সংক্ষিপ্ত স্বাক্ষাতকারে দীপক চন্দ্র দাস বলেন, ‘২০০৯ সালে ডেনমার্কের জলবায়ূ সম্মেলন যখন শুরু হয়, তখন আমি আমার বুকে এবং পিঠে ‘পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে সবুজ বিপ্লবের প্রয়োজন, গ্রীণহাউজ গ্যাস কমিয়ে ধরিত্রিকে রক্ষা করো” লিখে জলবায়ূ বিষয়ে শিক্ষা ও প্রচার করে চলছি।সাড়া বিশ্বের মানুষের মধ্যে এই আলোটা ছড়িয়ে দিতে এবং বিশ্বের মানুষ যেনো জলবায়ূ পরিবর্তন রোধে কাজ করে।

এই ভাবে কাজ করতে করতে ২০১৮ সালে এই পর্যন্ত আমার পথ চলা।যত দিন বেচে আছি ততোদিন পর্যন্ত আমি এই প্রচারের কাজ চালিয়ে যাবো।

ময়মনসিংহের বৃক্ষমানব দীপক চন্দ্র দাস

নোঙর নিউজ : আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে এই প্রচারের কাজ করছেন, নাকি দেশ প্রেম থেকে এগিয়ে এসেছেন?

দীপক চন্দ্র দাস : আমি দেশপ্রেম বোধ থেকে ব্যাক্তিগত পর্যায়ে এই প্রচারণার কাজ করে যাচ্ছি।

নোঙর নিউজ : কয়লা নগরিতে জলবায়ূ সম্মেলন শুরু, এটা কি?

দীপক চন্দ্র দাস : কলয়লা নগরি হচ্চে পোল্যান্ডে।ইন্টারন্যশনাল ক্লাইমেট কনফারেন্স ফর পোল্যান্ড। ‘বি সাকসেসফুল দ্য ম্যান দীপক, মেক দ্য লিমিট দ্য ফলো অফ কার্বন’।

নোঙর নিউজ : এই স্লোগান আপনি বাংলাদেশ থেকে দিয়েছেন, না কি পোল্যান্ড থেকে দিয়েছে?

দীপক চন্দ্র দাস : বাংলাদেশে আমার জন্ম। আমার দেশকে আমি অনেক ভোলোবাসি। পৃথিবীর ১৩০টি রাষ্ট্র যদি এক সাথে জলবায়ূ পরিবর্তন মোকাবেলায় একমত পোশন করে তাহলে রক্ষা পাবে ধরিত্রী রক্ষা হবে প্রাণ, রক্ষা পাবে বাংলাদেশ।

নোঙর নিউজ : এই পর্যন্ত আপনি দেশের বাইরে কোন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন?

দীপক চন্দ্র দাস : আমার এখনো দেশের বাইরে যাবার সৌভাগ্য হয় নাই।আমার নিজের দেশেই এই প্রচারটা চালাইয়ে যাচ্ছি।আমার ইচ্ছো হলো যে, সরকার বলছে উন্নয়নশীল পথে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। ঠিক সেই উন্নয়নের সাথে সাথে পরিবেশের টেকশই উন্নয়নও করতে হবে।”যদি টেকশই উন্নয়ন করতে হয় তাহলে শ্রমজিবী মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে। কারণ শ্রমজিবী মানুষের শ্রমে সভ্যতা গড়ে উঠেছে এবং শ্রমজিবী মানুষের কারণেই অর্থনিতীর চাকা সচল হয়েছে”।এটা আমার কথা নয়, বিদ্রহী কবি কাজি নজরুল ইসলামরের ভিখারি কবিতার একটি লাইন।

আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে বিশ্ববাসিকে জানাই ১৩০ টি রাষ্ট্রের প্রধানরা যেনো একমত পোশন করে কার্বণ নিস্বরণ কমানোর কাজ করে।তাহলে রক্ষা হবে ধরিত্রী, রক্ষা পাবে প্রাণ, রক্ষা হবে বাংলাদেশ। এটা আমার ভা্লোবাসার বাংলাদেশ।

নোঙর নিউজ : জলবায়ূ পরিবর্তনের পাশাপাশি বাংলাদেশের নদ-নদী দখল-দূষণ চলছে।

দীপক চন্দ্র দাস : আমাদের নদীরা নাব্যতা হরিয়ে ফেলছে। আর এই নাব্যতা হারিয়ে গেলে আমাদের কৃষিকাজ ব্যহত হবে। এমন একটা সময় আসতেছে যে, তাপমাত্রা বা বৈশ্বিক উষ্ণতা এটা কি? মানে জলবায়ূ প্রবহ। তাপ বাড়ার সাথে সাথে দেখা যাচ্ছে যে বর্জ্যপাতের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। এর কারন নদীরা শুকিয়ে যাচ্ছে, নদীগুলো খনন করা হয়নি।

এই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন তিনি যদি আরো কঠিন পদক্ষেপ নেন তাহলে নদীমাতৃক দেশের এবং পৃথবীর ভারসাম্য ফিরে আসবে। আগামীতে ক্ষমতায় যেই সরকার আসুক নদী সুরক্ষা করতে হবে, পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়নে আরো কাজ করতে হবে এবং তরুণ প্রজন্মকে বর্তমানের জলবায়ূ পরিবর্তন রোধ এবং সকল নদী সুরক্ষার কাজে এগিয়ে আসতে হবে।

“জলবায়ূ পরিবর্তন রোধে তোমার ধরিত্রী তোমাকে চায়, আমার পৃথিবী আমকে চাচ্ছে”, আমরা তো আমাদের পৃথিবীকে চাচ্ছি না! তাই আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের দেশে আরো বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে, মানুষের খারাপ অভ্যেসটাকে পরিবর্তণ করতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলা যাবে না। নগরিকে সুন্দর রাখতে হবে এবং অবশ্যই আমাদের নদীগুলো রক্ষা করতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে