সহিংসতার প্রেক্ষাপটে শিশু শিক্ষায় তিনটি বিষয় বিবেচনার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

0
420

মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (নোঙরনিউজ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহিংসতায় আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে শিশু শিক্ষার চাহিদা মোকাবেলায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি মিয়ানমারে বিনিয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে রোহিঙ্গা শিশুরা তাদের জন্মভূমিতে ফিরে শিক্ষার অধিকারসহ অন্যান্য শিশু অধিকার ভোগ করতে পারে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে এখানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সভাকক্ষে ‘নারী ও মেয়েশিশু শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রথমত, আমাদেরকে বুঝতে হবে যে সংঘাত, জাতিগত নিধন ও গণহত্যার ঘটনায় পালানো এসব শিশু প্রচন্ড রকমের মানসিক আঘাত বহন করছে। তাদের মনো-সামাজিক চাহিদার বিষয়টি আমাদেরকে দেখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়ত, সংঘাত ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ চানানোর ঘটনায় পালিয়ে আসা এসব শিশু কোন সাধারণ বিদ্যালয়ে নিজেদের অভ্যস্ত করতে পারবে বলে প্রত্যাশা করা যায় না। ‘সুতরাং, তাদের জন্য অনানুষ্ঠানিক ও জীবনধর্মী বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করা জরুরি।’

তিনি বলেন, তৃতীয়ত, জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গা শিশুরা বর্তমানে ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে বসবাস করছে। এসব শিশুকে নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা ও জাতিগতভাবে শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ ধরনের শিক্ষা তাদের প্রকৃত পরিচয় ধরে রাখতে সহায়তা করবে।’ এ শিক্ষা এক সময় তাদের দেশে ফিরে তাদের জীবনকে এগিয়ে নিতেও প্রস্তুত করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিশুদেরকে শিক্ষা প্রদানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।বাসস।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে