স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নাটকের অবদান অনস্বীকার্য : স্পিকার

0
420

শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮ (নোঙরনিউজ) : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নাটকের অবদান অনস্বীকার্য।

নাটককে সমাজের দর্পন হিসাবে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়েছে তার প্রতিফলন ঘটেছে নাট্য জগতে। স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীকার ও ভাষা অন্দোলনের ইতিহাসকে ধারণ করে রচিত হয়েছে অনেক কাব্য, উপন্যাস ও নাটক। সে কারণে এদেশের নাটকের আবেদন ফুরিয়ে যায়না বরং নাটকে প্রতিফলিত হতে থাকে ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক ঘটনাবলি।’

তিনি আজ ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ত্রয়োবিংশ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক লিয়াকত আলী লাকী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।

স্পিকার বলেন, প্রতিবাদ ও পরিবর্তনের ভাষা হলো নাটক। নাট্য চর্চাকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে তিনি গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রতি আহবান জানান।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আগামী দিনে অনেক নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের সংবিধানে শোষণমুক্ত দেশ গড়ার যে অঙ্গীকার রয়েছে সেটা বাস্তবায়নে নাট্যকর্মীরা ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বাঙ্গালী জাতির রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। স্বাধীনতা ও ভাষার জন্য যে জাতি রক্ত দিয়েছে সে জাতির সংস্কৃতিবোধ অনন্য। এই সমৃদ্ধ ইতিহাস থেকে বাংলাদেশের জনগণ তাদের আত্মপরিচয় খুঁজে পেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার সংস্কৃতি বান্ধব। নাট্যকর্মীদের উন্নয়নে শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে নানা বাস্তবমূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার, যা নাট্যকর্মীদের আরও বেশি নাট্য ও শিল্পকলা চর্চায় অবদান রাখতে সাহায্য করবে।’

এর আগে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী ত্রয়োবিংশ জাতীয় সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে