মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন একতরফা ও ভিত্তিহীন : তথ্যমন্ত্রী

0
410

ঢাকা, ২২ এপ্রিল, ২০১৮ (নোঙরনিউজ) : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের রিপোর্ট একতরফা, নীতিহীন, ভিত্তিহীন ও মনগড়া। সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে বিশেষ করে তথ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত না নিয়ে এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। আমরা এই রিপোর্ট সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের রিপোর্ট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে রবিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘অধিকার’সংগঠনটি রিপোর্ট দিয়েছিল- শাপলা চত্বরে হেফাজতের হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। পরে সরকার থেকে তাদের কাছে মৃত ব্যক্তিদের তালিকা চাওয়ার পরে তারা আর তালিকা দিতে পারেনি। পরবর্তীতে দেখা গেছে যাদের মৃত বলা হয়েছিল তারা বেঁচে আছেন। ‘অধিকার’যে ভালো রিপোর্ট দেয় না এটাই তার প্রমাণ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’বলেছে, গতবছর বাংলাদেশে ১৬২ জন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। অপরদিকে ‘অধিকার’বলেছে গতবছর বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ১১৮ জন। এই দুটি সংস্থার নিজেদের প্রতিবেদনের মধ্যেই অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। এই দুটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই গত ২০ এপ্রিল শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এই রিপোর্ট দেয়।

তিনি দাবি করেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সম্পর্কে রিপোর্টে যা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। বিচারপতি এসকে সিনহা নিজেই নিজেকে নানাবিধ বিতর্কে বিতর্কিত করে রিজাইন দিয়ে চলে গেছেন।

জামায়াত সম্পর্কে প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তাও সঠিক নয় দাবি করে ইনু বলেন, জামায়াত কোনও এনজিও নয়। জামায়াত ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধন হারিয়েছে। কিন্তু রাজনীতিতে ক্রিয়াশীল রয়েছে। ’বাংলাদেশের বিচারকরা ঘুষ খান’- মার্কিন প্রতিবেদনটিতে করা এমন মন্তব্য ‘একটি হালকা মন্তব্য’ বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, সরকার কোনভাবেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করে না। কাজেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের দায়মুক্তি দেয়ার কোনও এখতিয়ার কারও নেই। বাংলাদেশে সংবাদ মাধ্যম ও এনজিও কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়া হচ্ছে, প্রতিবেদনের এমন মন্তব্য সম্পর্কে হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংগঠন, দুই হাজারের বেশি এনজিও ও স্বাধীন গণমাধ্যম কাজ করছে। বাংলাদেশের অনলাইন গণমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের কোনও বিরোধ সৃষ্টির ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা আছে। এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১৮ বছরের কমবয়সী বালিকাদের বিবাহ নিষিদ্ধ করে আইন চলমান আছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে